পোশাক কারখানায় ডিউটি শেষে সোমবার সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছিলেন এক নারী শ্রমিক। ফেরার পথে তার গতিরোধ করেন চারজন। এরপর তাকে টেনেহিঁচড়ে পাশের একটি নির্মাণাধীন ঘরে নিয়ে যান তারা। বিভিন্ন বয়সী ওই চারজন পোশাকশ্রমিক নারীর শরীরের জামাকাপড় ছিঁড়ে তার হাত-পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে যান।
অভিযোগ রয়েছে ওই নারীকে বিষ পান করিয়ে হত্যারও চেষ্টা চালানো হয়।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বিধায় গ্রামে সোমবার রাত ১২টার দিকে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় পুলিশ। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পর শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
নির্যাতনের শিকার ওই নারীর বোন জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমি আসার আগেই পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমার বোন জানিয়েছে, বিধায় গ্রামের নাজমুল, রফিক, খোকন ও শহীদ তাকে নির্যাতন করেছে। কীটনাশক পান করিয়ে হত্যারও চেষ্টা করা হয়েছে। একপর্যায়ে বস্ত্রহীন অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। আমার বোনের অবস্থা ভালো নয়। এ কারণে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে পারিনি। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর থানায় মামলা করব। ’
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তানসেন চৌধুরী বলেন, ‘খবর পেয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় ওই নারীকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাই। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়। ধর্ষণের পর বিষপানে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে শুনেছি। ওই নারীর পুরো শরীর ভেজা ছিল। তাকে পানিতেও চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন। ’
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরম্নজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ পেলেই মামলা রেকর্ড করা হবে। খবর পাওয়ার পরপরই দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারীর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীর শরীরের অবস্থা ভালো হলেই থানায় এসে মামলা করবেন। ’