নাটোরের নলডাঙ্গায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা জীবন হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা আসামি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার ভাই ফয়সাল ফটিককে অপর একটি মামলায় জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
নিহত জীবনের বাবা ফরহাদ হোসেন ও তার চাচা ডা. শাহীনকে হত্যার উদ্দেশে মারপিটের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ওই মামলায় নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন চেয়ারম্যান আসাদ ও তার ভাই ফয়সাল ফটিকসহ ১৪ অভিযুক্ত আসামি।
এসময় বিচারক মেহেদী হাসান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার ভাই ফয়সাল ফটিককে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আর অন্যদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আসাদুজ্জামান আসাদ ও ফয়সাল ফটিক নলডাঙ্গা উপজেলার রামশারকাজীপুর গ্রামের মো. আনিছুর রহমান শাহ’র ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর রোববার দুপুরে নিহত জীবনের বাবা মো. ফরহাদ হোসেন ও তার চাচাতো ভাই ডা. শাহিন সাধারণ ডায়েরি করার উদ্দেশে নলডাঙ্গা থানায় যাচ্ছিলেন। পথে নলডাঙ্গাস্থ অধীরের মোড়ে পৌঁছালে আসাদুজ্জামান ও তার বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আহত হন ফরহাদ হোসেন ও ডা. শাহিন।
পরে এই ঘটনায় আহত ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই এসএম ফকরুদ্দিন ফুটু বাদি হয়ে আসাদুজ্জামান আসাদকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে ২৯ অক্টোবর শনিবার নলডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গত ২৩ অক্টোবর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের ওপর হামলার অভিযোগে তার মা ফিরোজা বেগমের করা পাল্টা মামলায় মো. শাহিন শাহকে-ও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শাহিন শাহ রামসার কাজিপুর গ্রামে মৃত জেহের শাহ ছেলে। এদিন দুপুরে মামলার আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। মামলায় ৬৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।