পটুয়াখালীর গলাচিপায় পৈত্রিক জমি বিক্রি করে সংখ্যালঘু পরিবার দিশেহারা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছোট গাবুয়া গ্রামের চিত্তরঞ্জন হাওলাদারের বাড়িতে। চিত্তরঞ্জন হাওলাদার হচ্ছেন মৃত জগবন্ধু হাওলাদারের ছেলে। চিত্তরঞ্জন হাওলাদারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাপ-দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি আমি আমাদের একই এলাকার মহেন্দ্র হাওলাদারের ছেলে শিশু হাওলাদারের কাছে বিক্রি করি। শিশু হাওলাদার ওই জমি আমাদের এলাকার হাফেজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মহিউদ্দিন হাওলাদারের কাছে বিক্রি করে।
মহিউদ্দিন হাওলাদার আমার ক্রয়কৃত জমির সম্মুখে সরকারী রাস্তায় আমার লাগানো মেহগনি, চাম্বুল, রেইন্ট্রি, কড়াইসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫০টি গাছ কেটে ফেলে। আমি বাঁধা দিলে আমাকে মহিউদ্দিন হাওলাদার ও তার ছেলে হিরণ হাওলাদার প্রাননাশের হুমকি দেয় এবং আমাকে আমার পৈত্রিক ভিটাবাড়ি ও জমি থেকে চলে যেতে বলে। এ বিষয়ে আমি গোলখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নাসিরউদ্দিন হাওলাদারকে জানাই। তিনি চৌকিদার পাঠিয়ে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। এ বিষয়ে মহিউদ্দিন হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
চিত্তরঞ্জন হাওলাদার গাছ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। গোলখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নাসিরউদ্দিন হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে দু’পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে মীমাংসার ব্যবস্থা করব। এ বিষয়ে চিত্তরঞ্জন হাওলাদার সঠিক বিচার না পেলে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করবেন বলে জানান।