অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট বাজার ধরা হয় ভারতকে। দেশটিতে ক্রিকেট উন্মাদনা যেমন চরমে তেমনি ম্যাচ পাতানোর ঘটনায়ও সবার আগে আসছে ভারতের নাম।
এই তথ্য জানিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। সংস্থাটি এখন ৫০টি ম্যাচ পাতানোর ঘটনা তদন্ত করছে। এর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাকি উঠে এসেছে ভারতের নাম।
২০১৩ সালে আইপিএলে ম্যাচ পাতানো ও স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর আইসিসি ভেবেছিল, এর ফলে ভারতে ম্যাচ পাতানো ও সংশ্লিষ্টদের দৌরাত্ম্য কমবে।
কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। এখনো ম্যাচ পাতানোর যত ঘটনা, তার অধিকাংশ তদন্তেই ভারত সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাচ্ছে আইসিসির দুর্নীতি-বিরোধী ইউনিট।
শনিবার ক্রীড়া আইন ও নীতিসংক্রান্ত এক ক্লাসে আজ আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট (এসিইউ) এর তদন্ত সমন্বয়ক স্টিভ রিচার্ডসন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্ধকার দিকের কথা তুলে ধরেছেন।
জুয়াড়িরা এখন ঘরোয়া ক্রিকেটের নিচু স্তরে নজর দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রিচার্ডসন। তিনি বলেন, আমরা এখন ম্যাচ পাতানো নিয়ে ৫০টি ঘটনা তদন্ত করছি এবং অধিকাংশ অভিযোগই ভারত সংশ্লিষ্ট।
নিয়মিত এমন অপরাধ করছেন, এমন জুয়াড়িদের নামও তাদের হাতে বলে জানিয়েছেন রিচার্ডসন। বলেন, আমি এখনই এমন আটজনের নাম ভারতের কর্তৃপক্ষের কাছে দিতে পারি যারা নিয়মিত খেলোয়াড়দের এভাবে বিপথে টেনে নিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, খেলোয়াড়রা এই চেইনের শেষ যোগসূত্র। আসল সমস্যা হলো যারা এই অপরাধের আয়োজক। যারা খেলোয়াড়দের টাকা দিচ্ছে।
ভারতে কিছুদিন আগেই ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে কর্ণাটক লিগ বাতিল হয়েছে। একটি দলের মালিক ও কিছু খেলোয়াড়কে নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু এসিইউ বলছে এসবে কোনো লাভ হবে না, যত দিন না ভারতে ম্যাচ পাতানোকে ফৌজদারি অপরাধ বলে ঘোষণা করা না হবে।
শ্রীলঙ্কা প্রথম দেশ হিসেবে ম্যাচ পাতানোর আইন এনেছে। এ কারণে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট এখন আগের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে আমরা আগ থেকেই সতর্ক। বর্তমানে ভারতে কোনো আইন নেই, ফলে ওরা এক হাত বাঁধা অবস্থায় কাজ করছে।