যমুনার উত্তাল বুকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর কাজ। এরই মধ্যে সাতটি পিয়ারের ওপর দৃশ্যমান হয়েছে পাঁচটি স্প্যান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেতুটি চালু হলে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে গোটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়াও খুলবে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দুয়ার।
সেতুর সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. তানভীর আহমেদ জানান, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারের এই সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে আধুনিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি।
সেতুটিতে থাকছে শত বছরের গ্যারান্টিযুক্ত ওয়েদারিং স্টিল। রেলপথে থাকবে না কোনো স্লিপার; থাকবে ডিজাইন স্পিড।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সেতুর কাজ ৪৬ ভাগ শেষ হয়েছে।
এদিকে, সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলায় খুশি ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, সেতুটি পুরোপুরি চালু হলে একদিকে যেমন যাতায়াতে সময় বাঁচবে, কমবে যাত্রী ভোগান্তি, আবার বাড়বে বঙ্গবন্ধু সড়ক সেতুর স্থায়িত্ব। অন্যদিকে স্বল্প খরচে মালবাহী ট্রেনে উত্তরাঞ্চল থেকে সারা দেশে কৃষি ও শিল্প পণ্য আনা নেওয়া করা যাবে। এছাড়াও খুলবে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দুয়ার।
১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রেলওয়ে সেতুটি ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।