আওয়ামী লীগের নেতা দুরন্ত বিপ্লবের (৫১) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাতে তাঁর ছোট বোন শাশ্বতী বিপ্লব এ মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাঁর ভাইকে অপহরণ করে হত্যা করেছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুরন্ত বিপ্লবের পরিবার হত্যা মামলা করেছে।
তদন্ত করে এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। ’
গত শনিবার বিকেলে বুড়িগঙ্গা নদীর ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ৭ নভেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দুরন্তের বোন শাশ্বতী বিপ্লব গত শুক্রবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের খামার থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটিতে মায়ের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বের হন তাঁর ভাই। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ।
রোববার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে দুরন্ত বিপ্লবের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মফিজুল উদ্দিন প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুরন্তের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। ’
পুলিশ বলছে, দুরন্তের ব্যবহৃত মুঠোফোনের সর্বশেষ অবস্থান যেখানে ছিল, সেখানে একটি নৌকাডুবির কথা শোনা যাচ্ছে। তবে সেখানে দুরন্ত ছিলেন কি না, সেটা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তবে সোমবার পর্যন্ত নৌকাডুবির বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধুর কাছ থেকে কৃষিকাজ করতে রতনের খামার নামে পরিচিত একটি জায়গা নেন দুরন্ত বিপ্লব। চারজন পার্টনার মিলে খামারটি শুরু করলেও লোকসান হওয়ায় সরে পড়েন দুই পার্টনার। সম্প্রতি খামারটি দেখভালের জন্য থাকা লোকটি বেতন না পাওয়ায় চাকুরি ছেড়ে চলে যান। দুরন্ত নিখোঁজের দিন দুপুর পযর্ন্ত একসঙ্গে ছিলেন বলে দাবি করেন তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার লোটন।