রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই দুই ছাত্রকে প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
ইমো হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় ওই দুই শিক্ষার্থীসহ নাটোরের একজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়। আদালত তাদের একদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে। ডিএমপির সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আ ফ ম আল কিবরিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে জানুয়ারিতে ইমো হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়। রোববার (১৩ নভেম্বর) সকালে সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইউনিট তাদের গ্রেপ্তার করে। আদালত তাদের একদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
গ্রেপ্তার দুই শিক্ষার্থী হলেন- চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. রেজোয়ান ইসলাম ও সাকিব। রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার চকপাড়া এলাকার একটি মেস থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে একই মামলায় গ্রেপ্তার তরুণ হলেন রবিন।
তার
বাড়ি নাটোরে।
এর আগে রেজোয়ান ইসলামের বড় ভাই মিরাজুল ইসলাম জানান, গত শনিবার (১২ নভেম্বর) আমি রাজশাহীতে এসেছি। রাতে আমি ওদের সঙ্গেই ছিলাম। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চার/পাঁচজন ব্যক্তি সিভিল ড্রেসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে রেজওয়ান এবং সাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। রাজশাহীর বাইপাস রোডের এমআর মোটরসাইকেল দোকানের এক ছেলের সঙ্গে কীভাবে পরিচয় সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। এছাড়াও প্রযুক্তি বিষয়েও কিছু প্রশ্ন করছিল। পরবর্তীতে তাদের মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। আমি তাদের পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তার পরিচয়পত্র দেখায়নি। তারা আমার ফোন নম্বর নিয়ে বলে পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
তিনি আরও বলেন, আটকের ২৪ ঘণ্টা পরও রাজশাহীতে কোনো আদালতে হাজির না করায় থানায়, ডিবি কার্যালয় এবং র্যাব অফিসে যোগাযোগ করি। সবাই অস্বীকার করে। এছাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলেও পুলিশ তা নেয়নি।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, দুই শিক্ষার্থী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে আছে এটা জানি। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।