এবার ৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। গত রোববার বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এবং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণা করেছেন সংগঠনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. আবু হোরায়রা ও সাধারণ সম্পাদক এম রাজীবুল ইসলাম তালুকদার।
এর আগে, ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি), ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি), আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিসহ আরও বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি গঠন করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ নোটিশ জারি করে বলেছে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানো যাবে না।
সেপ্টেম্বরে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানদের চিঠি লিখেছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)।
চিঠিতে বলা হয়, ট্রাস্টের অধীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত সেশনজটমুক্ত অলাভজনক ও অরাজনৈতিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পলিসি (নীতি), শৃঙ্খলা ও নিয়মকানুন অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলবে কি না, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম দিয়ে নির্ধারিত। অর্থাৎ, কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি করা যাবে কি না, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে নির্ধারিত হবে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মতোই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন ও ছাত্রদলের প্রতি সহানুভূতিশীল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগের অপরাজনীতির কারণে ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্ররাজনীতির প্রতি একধরনের ভয়, ক্ষোভ ও ঘৃণা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এর দায় ছাত্রদল বহন করবে না। ।