খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও দুজন শিক্ষককে অপসারণের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। অপসারণ ও বরখান্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) এ রায় দেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো.ইজারুল হকের বেঞ্চ।
তিন শিক্ষক হলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল ফজল (বরখাস্ত) একই বিভাগের প্রভাষক শাকিলা আলম (অপসারিত) এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী (অপসারিত)।
গত বছর ২৩ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তিন শিক্ষকের একজনকে বরখাস্ত এবং দুজনকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে ২৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চিঠি ইস্যু করেন। পরে এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টেদের আইনি নোটিশ দেন তিন শিক্ষক। নোটিসের জবাব না পেয়ে বরখাস্ত ও অপসারণ সংক্রান্ত ২৮ জানুয়ারির আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৪ ফেব্রুয়ারি রিট করেন তাঁরা। তখন রিটের প্রাথমিক শুনানির পর রুল জারির পাশাপাশি তাদের অপসারণ ও বরখাস্তে স্থিতাবস্থা দিয়েছিলেন আদালত।
বরখাস্ত ও অপসারণসংক্রান্ত ২৮ জানুয়ারি আদেশ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ–উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ আট বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই তিন শিক্ষকের বরখাস্ত ও অপসারণ অবৈধ ঘোষণা করে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ’
শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি কমানো, আবাসনসংকটের সমাধান, দ্বিতীয় পরীক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ করায় এই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।