জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রতিশোধের নেশায় বিএনপি সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং গণতন্ত্র চর্চা করে। কিন্তু বিএনপির গণতন্ত্র মানে আগুন সন্ত্রাস। ’
ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বিএনপি আবারও আগুন নিয়ে খেলতে চাইলে তা প্রতিহত করবে জনগণ।
’ ডিসেম্বর মাসজুড়ে মাঠে থাকতে সব নেতাকর্মীদের এখনই প্রস্তুতি শেষ করার তাগিদও দেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জনগণ ভালো করেই জানে, তারা কোথায় আছে। আর বিএনপির আমলে কোথায় ছিল? গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে আর্থ-সামাজিক সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ আজ এক মজবুত ভীতের ওপর দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব সভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি রাষ্ট্র হিসেবে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছে। তাই দেশের জনগণ নিশ্চিতভাবে বিএনপির সেই অনুর্বর, উষর, অন্ধকারময় সময়ে ফিরে যেতে চায় না। ’
তিনি বলেন, ‘জনগণ বিএনপিকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। আর জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত বিএনপি প্রতিশোধের নেশায় বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়িয়েছে। আমরা সেই সন্ত্রাসের উত্তাপ থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, দূরে রাখার চেষ্টা করেছি। ’
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই বলেছেন, তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। অর্থাৎ এই সমাবেশে সরকার বাধা দেয়নি। সরকার শুধু সতর্ক ছিল এই সুযোগে বিএনপি যেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করতে পারে। বিএনপি তাদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের জন্য আবারও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সেসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকার কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে না। ’
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘স্বাভাবিক অবস্থায় জনগণকে শান্তি ও নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের প্রধানতম দায়িত্ব। শান্তি-নিরাপত্তার পাশাপাশি চলমান বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে জনগণকে স্বস্তি প্রদান করে চলেছে সরকার। তথ্যের অবাধ প্রবাহের এই যুগে দেশের জনগণ ভালো করেই জানে, বৈশ্বিক সংকটের অভিঘাত কত গভীর এবং তা মোকাবিলায় সরকার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং জনগণ ফুঁসে ওঠে নাই। বরং বৈশ্বিক এই সংকটকে পুঁজি করে বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ’