নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ও মাদক সম্রাট বজলুর রহমান (৫২) ওরফে বজলুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, ২২০ গ্রাম হেরোইন ও জাল টাকা জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে চনপাড়া বস্তি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বজলু কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান এবং রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য।
বজলুর নামে হত্যা, অস্ত্র ও মাদকের ২৩টি মামলা রয়েছে।
র্যাব বলছে, বজলু একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। সে চনপাড়া বস্তি এলাকার মাদক ব্যবসার অন্যতম মূলহোতা ও নিয়ন্ত্রক। সেখানকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ হতে মাসিক ভিত্তিতে টাকা তুলতো বজলু। নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে তার বেশ কয়েকজন সহযোগী কাজ করছে।
র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাব-১-এর একটি দল রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের গাড়িতে ওঠানোর সময় বজলু মেম্বারের লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে মাইকিং করে লোকজন জড়ো করে র্যাবের ওপর হামলা চালায়। সেদিন বজলু মেম্বারের লোকজনের হামলায় র্যাব সদস্য নাঈম ইসলাম, খন্দকার কামারুজ্জামান ইমনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে র্যাব-১১ ও র্যাব-১-এর পূর্বাঞ্চল ক্যাম্প এবং রূপগঞ্জ থানা পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে র্যাব সদস্যদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিনি আরো জানান, গতকাল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অভিযান চালিয়ে বজলু মেম্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনায় র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার তৌফিকুল ইসলাম রূপগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা করেন। মামলায় ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুকে প্রধান আসামি করে আরো ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ১০ নভেম্বর রাতে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সিটি শাহীন নিহত হন। সিটি শাহীনের আশ্রয়দাতা ছিলেন বজলু মেম্বার। এ ছাড়া র্যাবের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেন বজলু। শাহীন ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চনপাড়া মাদক নির্মূল কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। হামলা-নির্যাতনের ভয়ে শাহীন ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলত না।