নাতনি ও তার প্রেমিক মিলে পরিকল্পিতভাবে খুন করলো নানাকে। ঘুরতে যাওয়ার টাকা জোগাড় করতে এই হত্যাকাণ্ড ও লুটের ঘটনা ঘটায় তারা। এই ঘটনায় নাতনি আনিকার মাদকাসক্ত প্রেমিকও জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, চকবাজারে খুন হওয়া হাজী মনসুর আহমেদকে প্রথমে সিরেটিভ ইনজেকশন দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে আসামিরা।
কিন্তু ইনজেকশন দিতে গিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে শরীরে আঘাত পেয়ে মারা যান নানা হাজী মনসুর আহমেদ।
এই ঘটনায় নাতিসহ জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যার এক মাস আগ থেকে পরিকল্পনা করা হয়। এই ঘটনায় আনিকা ও তার সহযোগীরা ৯২ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত মত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) গভীর রাতে রাজধানীর চকবাজারে একটি বাসায় ঢুকে হাজী মনসুর আহমেদ (৭৮) নামে এক ব্যক্তিকে খুন করে স্বর্ণালংকার ও টাকাপয়সা লুটের ঘটনা ঘটে।
নিহতের ছেলে সারোয়ার আহমেদ জানান, দুর্বৃত্তরা বাবার হাত-পা বেঁধে টর্চার করে বাসার জিনিসপত্র লুট করেছে। এছাড়া মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করেছে। বাসায় বেশকিছু নগদ টাকা ছিল। সেগুলো লুট করা হয়েছে। এর পরেই অনুসন্ধানে নামে পুলিশ।