ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মো. কামাল হোসেনের (৫৫) বিরুদ্ধে খাবারের লোভ দেখিয়ে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত কামালকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় মুক্তা ভবন থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিশুটির মা জানান, আটককৃত কামাল হোসেন ও শিশুটির পরিবার একই বিল্ডিংয়ে তিন তলা ও নিচ তলায় ভাড়া বাসায় থাকেন। গত শনিবার সকাল ১১টার দিকে শিশুটি অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলার সময় খাবারের লোভ দেখিয়ে কৌশলে কামাল হোসেন তার তিনতলার ঘরে নিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরদিন আমার মেয়ে পেটে ও স্পর্শকাতর জায়গায় ব্যথা করছে এমন কথা আমাকে জানালে আমি অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারি আমার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
শিশুটির মা আরও জানান, এর আগেও চার-পাঁচবার এমন ধর্ষণ চেষ্টা করেছে এই কামাল। এই ঘটনার পর এলাকাবাসী ধর্ষক কামালের পক্ষ নিয়ে আমাকে উপযুক্ত বিচার করে দেবে বলে জানান এবং আমি যেন থানায় না যাই সে জন্যও হুমকি দিয়ে আসছিল ধর্ষকের পরিবার ও এলাকাবাসী। আমি এলাকাবাসীর কাছ থেকে কোনো বিচার না পেয়ে বুধবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করি। মামলা করার পর পুলিশ ধর্ষক কামালকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। আমি ধর্ষক কামালের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি যাতে করে আমার মেয়ের মতো আর কোনো মেয়ে ধর্ষণের শিকার না হয়।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ জামান জানান, শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বৃহস্পতিবার শিশুটিকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।