January 10, 2025, 7:52 am

করোনা সংক্রমণে ফের চীনে রেকর্ড।

অনলাইন ডেক্স
  • Update Time : Friday, November 25, 2022,
  • 24 Time View

সংক্রমণ রোধে ‘জিরো কোভিড নীতিতে’ চললেও এই মূহুর্তে চীনে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত বুধবার দেশটিতে রেকর্ড করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। তবে পরের দিনই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সেই রেকর্ড ভেঙে গেছে। এ দিন নতুন করে ৩২ হাজার ৬৯৫ জনের দেহে ভাইরাসটির অস্তিত্ব মিলেছে।

খবর রয়টার্সের।

 

প্রতিবেদনে লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, শুক্রবার দৈনিক কোভিড-১৯ সংক্রমণের আরেকটি রেকর্ডের খবর দিয়েছে চীন। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে ৩২ হাজার ৬৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে যাদের উপসর্গ আছে। উপসর্গ নেই এমন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৬৫৪ জন। এর আগের দিন অর্থাৎ বুধবার দেশটিতে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছির ৩১ হাজার ১৪৪ জন।

রয়টার্স বলছে, সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংজু ও

দক্ষিণ পশ্চিমের চংকিং শহরে। এ ছাড়া ছেংতু, জিনান, লানঝো, জিয়ান ও উহানে শতাধিকের বেশি করে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

এ দিকে শিজিয়াজহুয়াং শহরে আগের তুলনায় চারগুণ বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা গেছে। বৃহস্পতিবার শহরটিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ১৯৭ জন।

অন্যদিকে বেইজিংয়ে ১ হাজার ৮৬০ জনের দেহে ভাইরাসটির অস্তিত্ব মিলেছে। এর মধ্যে উপসর্গ আছে এমন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪২৪ জন। আর উপসর্গবিহীন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৩৬ জন।

চীনের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সাংহাইতে উপসর্গ আছে এমন নয়জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। উপসর্গ নেই এমন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭৭ জন।

এক কোটি ৯০ লাখ মানুষের শহর গুয়াংজুতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৫২৪ জন। এর মধ্যে উপসর্গ রয়েছে ২৫৭ জনের। উপসর্গ নেই এমন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ২৬৭ জন।

চংকিংয়ে উপসর্গ নেই এমন ৬ হাজার ২৪২ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। উপসর্গ আছে এমন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২৫৮ জন।

এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে সংক্রমণের রেকর্ড ছিলো চীনে। দেশটিতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হতো নাগরিকদের। বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা, বাধ্যতামূলক করোনা টেস্ট-এমন কঠোর স্বাস্থ্যবিধির প্রতিবাদে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে ওই সময়। এরপর স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা শিথিল করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। করোনা প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ৭ দিনের পরিবর্তে ৫ দিন করা হয়। আর পরোক্ষ সংস্পর্শে কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়া হয়।

চীনের এমন সিদ্ধান্তের পর আবার সেখানে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আবারো কঠোর সিদ্ধান্তের দিকে যাচ্ছে দেশটি। ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, শুক্রবার থেকে ঝেংঝু শহরের ৬০ লাখ বাসিন্দাকে কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে। বেইজিংয়ের বেশকিছু জেলায় স্কুল, শপিংমল ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং।

করোনা নিয়ন্ত্রণে চীনের ‘জিরো কোভিড পলিসি’ অনেক জীবন রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এতে দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে দেশটির মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষ।

এ দিকে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ইতিমধ্যে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষা, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং আইসোলেশনের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71