ঢাকার কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই একটি হত্যা মামলা করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামাল।
তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করি। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ’
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যার দিকে কোনো কারণ ছাড়াই বাড়ি থেকে বের হন ৩৮ বছর বয়সী ওই বাক প্রতিবন্ধী নারী। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাচ্ছিল না। পরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে নিহতের পরিবার।
মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা সাবান ফ্যাক্টরি সড়ক এলাকা থেকে দগ্ধ অবস্থায় এক নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে পাঠানো হয় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পুলিশ পরিচয় নিশ্চিত হয়ে পরিবারকে খবর দেয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের বোন পাখি সরকার বলেন, ‘আমার বোন বাক প্রতিবন্ধী। সোমবার বাসার সামনে থেকে এক ব্যক্তি তাকে ফুসলিয়ে কদমতলী এলাকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে রেখে যায়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ’
শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক সার্জন এসএম আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘ওই নারীর শরীরে ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, নিহতকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।