শেরপুরে জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনের সমন্বয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানেই ধর্মহীনতা নয়। সকল ধর্মের বিকাশে ধর্ম মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর। এ জন্য ইসলামের পাশাপাশি অন্য ধর্মের কল্যাণেও কাজ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন এ সংলাপের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে সামাজিক সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় জেলায় সংলাপের আয়োজন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় হচ্ছে। তিনি অপপ্রচার ও গুজব রোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সংলাপে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ শেরপুর। সংলাপের মাধ্যমে আগামী দিনে এ জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাহেলা আক্তারের সভাপতিত্বে সংলাপে বিশেষ অতিথি বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু, শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহীদুল ইসলাম, নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরো ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান আকন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ। সংলাপে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।