আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধুমাত্র দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমার এই সংগ্রাম। যেই লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে জাতীর পিতার ডাকে এই দেশের মানুষ পাক বাহিনীর থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলো সেই আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করছি আমরা।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিকেল ৪টার দিকে তিনি জনসভাস্থলে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী সভাস্থলে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়ামে উপস্থিত লাখো নেতাকর্মী ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে তাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছে জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুকে খুনের পরে জিয়া-এরশাদ-খালেদা ক্ষমতায় এসেছিলো। তারা কেও এই কক্সবাজারের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে নাই। একমাত্র এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন হয়।
তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপি এদেশের মানুষকে কি দিয়েছে? অগ্নিসন্ত্রাস, খুন, মানি লন্ডারিং এগুলো দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৪ সালের আমাদের শান্তি র্যালিতে দিনেদুপরে গ্রেনেড হামলা করে তারেক-খালিদো জিয়া গং। যুদ্ধের ময়দানের গ্রেনেড আমাদের ওপর ছোড়া হয়েছিল। আইভী রহমামাসহ ২২ জন নেতাকর্মী মারা যায়। আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে গিয়েছিলাম।
এর আগে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ইনানীতে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পাটুয়ারটেকস্থ বঙ্গোপসাগরে আন্তর্জাতিক নৌ শক্তি প্রদর্শন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ইনানী সমুদ্রসৈকতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে নৌবাহিনী আয়োজিত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৮ দেশের নৌবাহিনী ও মেরিটাইম সংস্থার অংশগ্রহণে চার দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ (আইএফআর)-২০২২- এর আয়োজন করে। ‘আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউতে’ বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৮টি দেশের ৪৩টি যুদ্ধ জাহাজ, দুটি বিএন এমপিএ এবং ৪টি বিএন হেলিকপ্টার অংশ নিয়েছে।
জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন।