পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্বামী মৃত্যুর পরে বিধবা জোৎস্নার খোঁজ রাখে না কেউ, মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। বিধবা জোৎস্না বেগম (৫০) হচ্ছেন উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ফুলখালী গ্রামের আ. গণি হাওলাদারের মেয়ে ও মৃত লোকমান প্যাদার স্ত্রী। জোৎস্না বেগম তার দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। জোৎস্না বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ায় তিন সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে আছি। স্বামী নেই বলে কেউ আমাদের খোঁজ রাখে না। মানুষের বাড়ীতে ডাল তোলা, ধান মলার কাজ করে কোন রকম খেয়ে পড়ে চলে আমার সংসার। বাবার দেয়া ২ (দুই) শতক জায়গায় মানুষেরা একটি ঝুপড়ি ঘর তুলে দিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি এলে ঘরের মধ্যে পানি পরে আর শীতেও কষ্ট করতে হয়। ঘর তুলে দুবেলা খাওয়ার মত সামর্থ্য আমার নাই। এদিকে আমার এক মেয়েকে বিবাহ দিয়েছিলাম।
কিন্তু আমার মেয়ের জামাই বজ্রপাতে মারা গেলে এখন সেই মেয়ে এক নাতিসহ আমার কাছেই থাকে। আমার নিজের চলতেই দায় এখন ওদেরকে নিয়ে কীভাবে চলি। অনেকেই সরকারী ঘর পেয়েছে। কিন্তু আমি এখনও কোন ঘর পাই নাই। সবার দয়ায় সরকারী একটি ঘর পেলে কষ্ট করে থাকতে হত না। এ বিষয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সরোয়ার মোল্লা বলেন, বিধবা জোৎস্না বেগম অসহায় ও গরীব মানুষ। মানুষের বাড়ীতে কাজ করে তার সংসার চলে। আমরা মাঝে মাঝে তাকে কিছু সহায়তা দিয়েছি।
এলাকাবাসী তার বাবার দেয়া ২ (দুই) শতক জায়গায় পলিথিন ও ছালার চট দিয়ে কোন রকম থাকার মত ঝুপড়ি ঘর তুলে দিয়েছে। তার জন্য একটি ঘর খুবই প্রয়োজন। ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় বলেন, জোৎস্না বেগমের স্বামী মারা যাওয়ায় ছেলে মেয়েদের নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া একটি ঘর পেলে সন্তানদের নিয়ে সুখে থাকত। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, জোৎস্না বেগম দরখাস্ত দিলে যাচাই বাছাই করে ঘর পাওয়ার মত হলে অবশ্যই ঘর পাবে।