বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে বাড়ির আঙিনায় মাছ চাষ দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দেশের সর্বত্রই এই পদ্ধতিতে চলছে মাছ চাষ। নতুন এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কুড়িগ্রামে এক শিক্ষক। তিনি বলছেন, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের ফলে ভবিষ্যতে দেশের আমিষের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিতে নতুন দুয়ার উন্মোচন করবে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের খালিসা কৈলাশকুটি গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল মোমিন। এই পরিচয় ছাপিয়ে এখন তিনি সফল মাছ চাষি। বসতবাড়ির ৩৪ শতাংশ জমিতে দুটি জলাধারে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করেছেন।
চলতি বছরের আগস্টে দুটি জলাধারে ৫৭ হাজার কৈ-মাছ ও ৩ হাজার দেশীয় টেংরা মাছ ছেড়েছেন শিক্ষক মোমিন। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে মাছ বিক্রি করা শুরু হবে। জলাধার তৈরি, অক্সিজেন মেশিনসহ উপকরণ কিনতে তার ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা। ইতিমধ্যে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার পরিমাণ মাছ উৎপাদন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির আঙ্গিনায় গর্ত করে মাছ চাষ করতে দেখে শুরুতে প্রতিবেশীরা মোমনকে নিয়ে নানা কটূক্তি করেন। তবে এখন ধারণা পাল্টে গেছে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এই অভিনব কায়দায় মাছ চাষের প্রক্রিয়া দেখতে আসছেন। তৈরি হচ্ছেন নতুন নতুন উদ্যোক্তাও।
জেলা মৎস কর্মকর্তারা বলছেন, বায়োফ্লক একটি নতুন প্রযুক্তি। ছোট্ট পরিসরে ৩০ ভাগ কম খরচে মাছচাষ করে লাভবান হওয়ায় যায়। কেউ আগ্রহী হলে জেলা মৎস বিভাগ তাদের সব ধরণের কারিগরি সহযোগিতা দেবে।