গত কয়েক দিন ধরে উপকুলীয় জেলাপটুয়াখালীর গলাচিপায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাঁড় কাঁপানো এই শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঠান্ডা বাতাস আর তীব্র শীতে ভোগান্তি বাড়ছে এ অঞ্চলের মানুষের। ঠান্ডাজনিত রোগবালাই বাড়ছে। স্বল্প আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
নদী তীরবর্তি মানুষের কষ্ট বেড়েছে আরো বেশি। তীব্র শীতের প্রভাবে রিকশা-ভ্যান চালক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকরা পথে ও মাঠে নেমে সামান্য কাজ করেই কাবু হয়ে পড়েছে। পথশিশু কামালসহ আরও অনেকে গলাচিপার এলাকায় সন্ধার পর বাদাম বিক্রি করে আয় উপার্জন করে।
কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে অত্র এলাকায় প্রচন্ড কুয়াশা পড়ছে।সেই সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বেড়ে যাওয়ায় শহরে লোক সমাগম কমেছে। তাই বেচাকেনা হচ্ছে না তাদের তেমন। এদিকে এসকল নিম্মআয়ের লোকজন অর্থের অভাবে শীতবস্ত্রও কিনতে পারছে না। ৫ নম্বর এলাকার পিঠা বিক্রেতারা বলেন, শীতকালে আমাদের পিঠার দোকানে বেচাকেনা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু শীতের তীব্রতা সন্ধার পর বেশি বেড়ে যাওয়ায় মানুষ ঘর থেকে বাইরে কম বেড় হয়।
এ কারণেই পিঠা বিক্রি কম হচ্ছে। পটুয়াখালী আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (২৭ডিসেম্বর) পর্যন্ত পটুয়াখালীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিন তীব্র শীত অব্যাহত থাকবে। আবহাওয়া অফিস থেকে আরও বলা হয়েছে, দুপুরে একটু গরম আবহাওয়া থাকলেও রাতে এবং সকালে তীব্র শীত অনুভূত হবে। শীতের এই দাপট চলবে আরো কয়েকদিন। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
মহাসড়কে বাড়ী যানবাহন চলাচলে বাড়তি সর্তকর্তা অবলম্বন করতে হচ্ছে। গলাচিপা হাসপাতালে ডাক্তার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হয়েছে।