বিশ্বকাপ দুঃখ এখনো হয়তো ভুলতে পারেননি নেইমার। কাতারে ব্রাজিলকে হেক্সা জেতানোর মিশন নিয়ে পা রাখলেও ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ধরতে হয় বাড়ির পথ। ওই ম্যাচ হারের পর নেইমার মাঠেই কাঁদেন শিশুর মতো। তিনি মানসিকভাবে কতটা ভেঙে পড়েছিলেন পরবর্তীতে বিভিন্ন খবরে উঠে আসে তা।
বিশ্বকাপের সেই দুঃখ না ভুলতেই নতুন করে আবার বিপত্তিতে নেইমার। বিশ্বকাপ শেষে গতকাল রাতে ক্লাব পিএসজির হয়ে প্রথম মাঠে নামেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তার দল স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতলেও, মাঠে নেমে লাল কার্ড দেখেন তিনি। তবে নেইমার হাসির পাত্র হচ্ছে কার্ড খাওয়ার ধরনে।
স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে গতকাল দুটি হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার। দুই কার্ডের মধ্যে ব্যবধান ছিল দুই মিনিটেরও কম। প্রথম কার্ড দেখেন স্ত্রাসবুর্গের আদ্রিয়েন থমাসনের মুখে হাত দিয়ে আঘাত করে। কিছুক্ষণ পরই ৬১ মিনিটে ডাইভ দিয়ে দেখেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। ডি বক্সের মধ্যে কোনো কারণ ছাড়াই পড়ে গিয়ে পেনাল্টির আবেদন করায় নেইমারকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
দুই হলুদে লাল কার্ড দেখায় আরও একটি লজ্জায় পড়েছেন নেইমার। বার্সেলোনা থেকে তিনি পিএসজিতে যোগ দেন ২০১৭-১৮ মৌসুমে। তিনি লিগ আ’তে আসার পর তার চেয়ে বেশি (৫) লাল কার্ড আর দেখেনি কেউ। পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পর ২০১৭ সালের অক্টোবরে অলিম্পিক মার্শেইয়ের বিপক্ষে প্রথম লাল কার্ড দেখেন নেইমার। সেটিও ছিল দুটি হলুদ কার্ডের সমন্বয়ে লাল কার্ড।
এরপর বেশ কিছুদিন রেফারির এই গুরুতর শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়নি। দ্বিতীয়বার লাল কার্ড দেখেন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি বোর্দোর বিপক্ষে। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে মার্শেইয়ের বিপক্ষে তৃতীয়টি, আর ২০২০-২১ মৌসুমের শেষ দিকে লিলের বিপক্ষে চতুর্থ লাল কার্ডটি দেখেন নেইমার। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে হতাশার লাল কার্ড হয়তো বুধবার রাতেরটি। মাঠেই রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন নেইমার। তাতে অবশ্য কাজ হয়নি কোনো।
এই লাল কার্ডের জন্য আগামী রোববার লাঁসের বিপক্ষে খেলা হবে না নেইমারের। ওই ম্যাচে পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের পাবেন না লিওনেল মেসিকেও। বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনা থেকে এখনো প্যারিসে ফিরে আসেননি মেসি।