পটুয়াখালীতে কথিত গ্রাম্য চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সিদ্দিক হোসেন (২২) নামের এক যুবক। এ ঘটনায় ১ জানুয়ারি ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে গলাচিপা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। অভিযুক্ত গ্রাম্য চিকিৎসক মোস্তফা ডাকুয়া রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী সিদ্দিক হোসেন চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গ্রামের সাহেব আলী মৃধার ছেলে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর সিদ্দিক হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রাম্য চিকিৎসক মোস্তফা ডাকুয়া তাঁকে ইনজেকশন দেন। এতে তিনি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, ভুল চিকিৎসায় সিদ্দিকের পাকস্থলী ছিদ্র হয়ে গেছে। কিন্তু অর্থাভাবে এখন আর উন্নত চিকিৎসা করতে না পারায় গ্রামের বাড়িতেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সিদ্দিক।
এ ব্যাপারে জানতে গ্রাম্য চিকিৎসক মোস্তফা ডাকুয়ার মোবাইল নাম্বারে কল দিলেও তিনি ধরেননি। ভুক্তভোগী সিদ্দিকের বাবা সাহেব আলী মৃধা বলেন, ‘মোস্তফা ডাকুয়ার ভুল চিকিৎসায় আমার ছেলের এই অবস্থা। আমি ন্যায্য বিচারের আশায় কোর্টে মামলা করেছি।’