গত সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলো শীতকালীন সবজিতে ঠাসা ছিল। তবে শীতের প্রকোপে বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে। এর জেরে সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতিটি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। শীতের প্রকোপ গিয়ে লেগেছে মাছ বাজারেও।
বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। তবে স্বস্তির খবর, দাম কমেছে নতুন চালে।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনি চিত্র দেখা যায়।
গত সপ্তাহে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছিল ৫০ টাকা। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারভেদে টমেটো আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। খিরাই ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ কেজি ১৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, আলু ৩০-৪০ টাকা, ফুল কপি পিস ৪০ টাকা, বাঁধা কপি ৩০ টাকা, শিম ৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
গোল বেগুন ৭০ টাকা কেজি, আর লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বরবটি কেজি প্রতি ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের প্রকোপে সবজি সরবরাহ কমেছে। আর এজন্যই দাম বেড়েছে। তবে সিন্ডিকেটকে দুষছেন সাধারণ ক্রেতারা।
এদিকে, শীতের সঙ্গে সঙ্গে মাছ বাজার উত্তাপ বাড়ছে। সরবরাহ কম থাকায় দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে। পাঙাশ ছাড়া বাজারে ২৫০ টাকার নিচে কোনো মাছ বিক্রি হচ্ছে না। আর সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বাজারে শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ টাকা। রুই ৩০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ টাকা, কাতল ৩০০ টাকা কালিবোস ২৫০ টাকা, টাকি মাছ ৩০০ টাকা, ছোট পাঁচ মিশালী মাছ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও কই মাছ ২০০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০ টাকা, বাঘা মাছ ৯০০ টাকা কেজি, বাইং (বাইন) মাছ কেজি ৭৫০ টাকা, চিতল সাড়ে ৫০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি ও মাছের বাজারে অস্বস্তি থাকলেও স্বস্তি দিচ্ছে চালের বাজার। নতুন চাল উঠায় প্রতিদিনকার খাবারের তালিকায় থাকা এ পণ্যের দাম কমেছে। ২৮ ও মোটা জাতের নতুন চাল বস্তা প্রতি কমেছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগিরও। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। সোনালী ও কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। আর আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস।