ইরানে আরও দুই বিক্ষোভকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর এক সদস্যকে হত্যার দায়ে ওই দুজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
ফাঁসি কার্যকর হওয়া দুই ব্যক্তি হলেন- মোহাম্মদ মাহদি কারামি ও সৈয়দ মোহাম্মদ হুসেনি।
একটি সামরিক আদালতে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
বিবিসি বলছে, ২২ বছর বয়সী কারামির ফাঁসি কার্যকরের আগে তাকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
ইরানের প্রসিকিউটরদের দাবি, প্যারামিলিটারি কর্মকর্তা রুহুল্লাহ আজমিয়ানকে নগ্ন করে হত্যা করা হয়েছে। সম্প্রতি নিহত এক বিক্ষোভকারীকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা শোকাহতদের একটি দল তাকে হত্যা করেছে।
কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত সেপ্টেম্বর থেকে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দেশটির নীতি পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়। তার বিরুদ্ধে কঠোর পর্দাবিধি মেনে যথাযথভাবে হিজাব না পরার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তেহরান থেকে শুরু হওয়া সে বিক্ষোভ গোটা ইরানে ছড়িয়ে পড়ে।
ইরানের মানবাধিকার বিষয়ক বার্তা সংস্থা এইচআরএএনএ’র তথ্য মতে, এ পর্যন্ত ৫১৬ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ জনই শিশু। এ ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৯ হাজার ২৬২ জনকে। বিক্ষোভ দমাতে গিয়ে ৬৮ জন নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
বিক্ষোভের পর যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেককেই গুম, নির্যাতন এবং খারাপ আচরণের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইরানে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় গত ডিসেম্বরে। তখন মহসেন সেকারি নামের একজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে তেহরানে এক নিরাপত্তাকর্মীকে ছুরিকাঘাত ও রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করার অভিযোগ আনা হয়। মহসেনকে চোখ বেঁধে জেলে মারধর করা হতো বলে দাবি তার আইনজীবীর।