গোপালগঞ্জে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। এর আগে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে নিয়ে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।
দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় দলের পক্ষ থেকে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর টুঙ্গিপাড়ায় উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ১টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসব প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত দুটি ঘাটলা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, টুঙ্গিপাড়া বাস টার্মিনাল, পাটগাতি ভূমি অফিস, টুঙ্গিপাড়া পৌর মার্কেট, টুঙ্গিপাড়া বাস টার্মিনাল, জেলা প্রসাশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবন, সোনাখালির জোড়াসেতু, রাধাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়, দারুছুন্নাহ সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, মাঝবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিস, পাটগাতী ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বাঁশবাড়িয়া ঝনঝনিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা, গোপালগঞ্জ সদরের স্বাধীনতা নামে জেলা পরিষদের ডাক বাংলো, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গার্ডার ব্রিজ উদ্বোধন। এ ছাড়াও শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭টি প্রকল্প ও একটি ভিত্তি প্রস্তরের মধ্যে ১৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। বাকি ৯টি প্রকল্প, শিক্ষা ও গণপূর্ত বিভাগ এবং টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা বাস্তবায়ন করেছে। গতকাল শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে খুলনায় তার পারিবারিক সম্পত্তি দেখতে যান। এরপর তিনি আবার গোপালগঞ্জে ফিরে আসেন।
দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে দশমবারের মতো দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম নিজ জন্মভূমি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থান করলেন তিনি।
এরআগে গত ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা-২১৭, গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) এর উন্নয়ন কার্যক্রমে দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত প্রতিনিধি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও চলমান এ প্রকল্পের উপদেষ্টা মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার।