গত ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে একের পর এক শীতকালীন ঝড় আঘাত হানছে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায়। ঝড়ের সঙ্গে তীব্র বৃষ্টিপাতে বন্যা, পাহাড় ধস ও কাদার ধস দেখা দিয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১৯ মার্কিনি প্রাণ হারিয়েছেন। বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন লাখ লাখ বাসিন্দা।
এর জেরে ক্যালিফোর্নিয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর রয়টার্সের।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকার (ফেডারেল) থেকে সহায়তার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বাইডেন। এই পদক্ষেপের ফলে মার্সেড, স্যাক্রামেন্টো ও সান্তা ক্রুজ কাউন্টির ক্ষতিগ্রস্তরা সহায়তা পাবেন।
বিবিসি বলছে, ক্যালিফোর্নিয়ার আড়াই কোটি বাসিন্দা বন্যার সতর্কতার মধ্যে রয়েছে। হাজার হাজার লোককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ পড়ায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন লাখো ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ১৩৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত শহর মন্টেসিটোতে এখনও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ২০১৮ সালে বৃষ্টিতে সৃষ্ট কাদা ধসে শহরটিতে ২৩ জন মারা গিয়েছিল। সেই ঘটনার পুনারাবৃত্তি হতে পারে বলে ধারণা করছে বাসিন্দারা।
উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার বেশিরভাগ আঙুর খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্যাপিটোলা শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরটির নদীগুলোর পানি বাড়ছে। এতে করে কৃষি জমিতে চাষ করা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার বিজ্ঞানী কিমব্রেলে রেই মিনার বলেন, ‘বৃষ্টি যে হারে হচ্ছে সেই পরিমাণ পানি শোষণ করতে পারছে না ভূমি। ইতোমধ্যে ভূমি পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আমরা যদি বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতাকে ধীর করতে না পারি, তাহলে এমনটা বার বার দেখতে হবে আমাদের। ’
প্রতিবেদনে বিবিসি আরও জানিয়েছে, বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের চোখ তাদের সেলফোনে। কারণ তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে কি না তা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এমনকি স্থানান্তারের ঘোষণা এলে তারা কোথায় যাবে তা নিয়েও তারা চিন্তায় রয়েছে।