উন্নয়ন দেখে যাদের হিংসা হয় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। সংবিধান যারা পরিবর্তন করতে চায় তাদের এদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। রোববার আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সভায় এসব বলেন দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, উন্নয়নে যাদের গাত্রদাহ তারাই আজকে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়।
৫৪ দল, এতো দল, এতো জনপ্রিয়তা থাকলে নির্বাচন নিয়ে এতো ভয় কেন? নির্বাচনী কারচুপি শুরুই করেছিলেন জিয়াউর রহমান। অগ্ৰযাত্রাকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র চলছে।
সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, এই সংবিধান কারও দয়ার দান নয়। সংবিধানকে যারা টুকরো করতে চায় তাদের এদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করেই শেখ হাসিনা জয়ী হবেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শুধু দেশিয় নয়, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি ৫৪ দল করেছে। ১৪ দলই রাজপথে মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট। ১০৮০ দিন ফেরত চাই নাই। রাজনীতি করলে জেলে যেতে প্রস্তুত থাকতে হবে। রাজপথ ১৪ দলের। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না।
এসময় আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে চায়, দেশকে ধ্বংস করতে চায় বিএনপি। বিএনপি জামায়াত এদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করতে চায়। তাদের প্রতিহত করতে হবে। এরা অনির্বাচিত সরকার চায়। এই অপশক্তিকে বিতাড়িত করতে হবে। কোন অবস্থাতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। অসাংবিধানিক পথে কাউকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না। এদেরকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে।