কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কলেজ ছাত্রশিবির নেতা আব্দল্লাহ আল মঞ্জুকে (১৭) কুপিয়ে হত্যার দায়ে সাবেক ইউপি সদস্যসহ ৬ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের আব্দুল মতলেব আলী ছেলে আব্দুল্লাহ, একই গ্রামের বাদশা আলীর ছেলে রুবেল, মৃত মকছেদ আলীর ছেলে কাশেম, মৃত ফকির চাঁদের ছেলে রুহুল আমিন, আফসার আলীর ছেলে নজরুল ও ফরিদ। এর মধ্যে রুহুল আমিন পান্টি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মী। নিহত মঞ্জু শিবিরের সাথী ছিলেন।
রায় ঘোষণার সময় রুবেল ছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পরই তাদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত এই মামলার ২৯ জন আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের চেয়ারম্যান পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কলেজ ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুকে ২০১২ সালের ১৩ এপ্রিল সকাল ৮ টার দিকে নিজ বাড়ির পাশেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত মঞ্জুর বাবা বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন ।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নাসির উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।