বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে ‘গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন’ সফল করার শপথ নিয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকীতে তার কবরে ফুল দিয়ে এই শপথ নেয় তারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে সমগ্র জাতি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে সবাই জেগে উঠেছে।
আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সমগ্র জাতি আবার জেগে উঠতে শুরু করেছে। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার সংগ্রামে আজকে সমগ্র মানুষ জেগে উঠেছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আজকের দিনের নতুন শপথ নিয়ে দ্রুত সকলকে আমরা সংগঠিত করবো। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও বাংলাদেশকে রক্ষা করার সংগ্রামে আমরা অবশ্যই জয়ী হবো। ’
জিয়ার কথা টেনে ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা মানুষ ছিলেন। তিনি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। পরবর্তীকালে জাতির সংকটকালেও তিনি এগিয়ে এসেছেন। তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। দেশকে নতুন করে নির্মাণ করার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশের মানুষ।
‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বিভক্ত জাতিকে একত্রিত করেছিলেন। একদলীয় শাসনের অন্ধকার থেকে দেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের আলোতে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি একটি সীমাবদ্ধ, সীমিত, ভ্রান্ত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি থেকে জাতিকে একটা মুক্তবাজার ও মিশ্র অর্থনীতির আলোতে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের ভিত্তি তিনি রচনা করেছিলেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান মানুষের অধিকারকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, এই নেতাকে আমরা বেশিদিন ধরে রাখতে পারিনি। দেশের শত্রুদের হাতে তিনি শহীদ হয়েছিলেন। আজো আমরা তাকে স্মরণ করি এবং তার জীবন-আদর্শকে অনুসরণ করে। তার ১৯ দফা কর্মসূচিকে সম্মুখে রেখে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি। ’
এ সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মীর নাসির, আহমেদ আজম খান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, ফরহাদ হালিম ডোনার, রকিবুল ইসলাম বকুল, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মীর সরাফত আলী সপু, শাম্মী আখতার, হারুনুর রশীদ, মীর নেওয়াজ আলী, রফিক শিকদার, এসএম জাহাঙ্গীর, ঢাকা মহানগরের আমিনুল হক, নবী উল্লাহ নবী, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আাজিজ উলফাত, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, যুব দলের মামুন হাসান মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মতস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান, ড্যাবের অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্র দলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ নেতারা ছিলেন।