বিএনপির ডাকা জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় পটুয়াখালী রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অগণিত নেতাকর্মী আহত হয়েছে শনিবার সকালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
এমনকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ চালায়।
জানা যায়, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ১০টায় শহরের বনানীতে অস্থায়ী কার্যালয়ে জনসমাবেশ শুরু করে বিএনপি। ওই জনসমাবেশে অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক চুন্নু মিয়া ও সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার, বিএনপির অন্যতম নেতা সাবেক পৌর মেয়র মোস্তাক আহমেদ পিনু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনসহ জেলা বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীরা।
দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও বাজার নিয়ন্ত্রণসহ ১০ দফা দাবিতে নেতাকর্মীদের বক্তব্য শুরু করলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সরকার দলীয় লোকজন তাদের ওপরে আতর্কিত হামলা শুরু করে। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও বাজার নিয়ন্ত্রণসহ ১০ দফা দাবিতে নেতাকর্মীদের বক্তব্য শুরু করলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সরকার দলীয় লোকজন তাদের ওপরে অতর্কিত হামলা শুরু হয় এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরাও পালটা হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষে মধ্য দফায় দফায় পালটা পালটি ধাওয়া চলে। দুপক্ষের হাতে ছিল লাঠিসোঁঠা ও দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড। দুই পক্ষের নিক্ষেপ করা ইটপাটকেলে সরকারি কলেজ সড়ক থেকে সিঙ্গারা পয়েন্ট পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে পরে। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ঘণ্টাব্যাপী পালটা পালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষে গোটা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। যে কারণে শহরে আসা বিভিন্ন উপজেলার মানুষদের পড়তে হয় বিভিন্ন বিরম্বনায়।
এসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা, একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন, এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ টিয়ারশেল মারতে ও লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়। সব ধরনের আশঙ্কা এড়াতে ঘটনাস্থলে অবস্থান করেন এসপি মো. সাইদুল ইসলাম, অ্যাডিশনাল এসপি আহমাদ মাঈনুল হাসান ও সাজেদুর ইসলাম এবং র্নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল রহমান। এ প্রসঙ্গে এসপি মো. সাইদুল ইসলাম, মিডিয়াকর্মীদের বলেন, দুই পক্ষের মধ্য ধাওয়া পালটা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে জনগণের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ টিয়ারশেল ব্যবহার করেছেন এবং স্বল্প সময়ে মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে সাধারণ মানুষের জান-মাল নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে বলেন পুলিশ সুপার।
এদিকে, মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সংক্ষিপ্ত আকারে জানান আমি শুরু থেকেই ঘটনাস্থলে ছিলাম তৎপর ছিল সকল পুলিশ সদস্য দু’পক্ষের যখন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও উভয় দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলি আমরা। ,