করোনা উপসর্গ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ হক (৬৫) মারা গেছেন (ইন্না… রাজিউন)।
সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার বেলা ১১টায় তিনি মারা যান। সিলেট জেলা বিএনপির আহায়ক কমিটির সদস্য আলী আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার নিউমোনিয়া ও কাশি নিয়ে সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন এম এ হক। বুধবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তার করোনা টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আলী আহমদ জানান, এম এ হকের করোনা উপসর্গ থাকায় সতর্কতার সঙ্গে তার দাফন ও জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আসর নগরীর মানিকপীরের টিলার সামনের সড়কে তার নামাজে জানাজা ও বাদ এশা তার গ্রামের বাড়ি বালাগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
এম এ হক সিলেট জেলা বিএনপির দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি এক সময় সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এম এম হকের গ্রামের বাড়ি বালাগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে। দীর্ঘ ১২ বছর ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি। ২০০৩ ও ২০০৮ সালের সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু বিজয়ী হতে পারেননি।
নির্বাচনে পরাজয়ের পর তিনি রাজনীতির ময়দানে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ২০০৪ সালে জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তিনি বাদ পড়েন ওই কমিটি থেকে। পরে বিএনপির সবশেষ কমিটিতে তাকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা করা হয়।