সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা অপরিবর্তিত অবস্থায় আছে। সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও পানি বাড়ছে হাওর এলাকায়।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
একই সময়ে উজানের ঢল কিছুটা কম নেমেছে। যে কারণে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমছে। ভারী বৃষ্টি না হলে এবং উজানের ঢল না নামলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
সুনামগঞ্জ জেলার সদর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত অবস্থায় আছে।
তবে পানি বাড়ছে জেলার নিচু এলাকা হিসেবে পরিচিত দিরাই, শাল্লা, ধর্মপাশা ও জগন্নাথপুর উপজেলায়। এসব এলাকায় মানুষ নতুন করে পানিবন্দী হয়ে পড়ছেন।
জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, গোবিন্দগঞ্জ, জামালগঞ্জ উপজেলার।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কাজীরপয়েন্ট, উকিলপাড়া, ষোলঘর, নবীনগর, ধোপাখালী, মল্লিকপুর, বড়পাড়া, তেঘরিয়া, ওয়েজখালী, কালীপুর হাছনবসত, শান্তিবাগ, মরাটিলা টিলাপাড়া, নুতনপাড়া,কালিবাড়ীসহ আবাসিক এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে।
এসব এলাকায় মানুষের বসতঘরে ঢুকেছে বন্যার পানি। রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে। লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
তারা জানান, ঘর বাড়িতে পানি উঠায় চুলায় আগুন হচ্ছে না ফলে রান্না বান্না করতে পারছি না, ছেলে মেয়েদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছি।
এদিকে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠা মানুষ অভিযোগ করছেন আশ্রয় কেন্দ্রে তারা ত্রাণ পাচ্ছে না