কুমিল্লার চান্দিনায় নতুন করে সরকারি ভাতার আওতায় এসেছেন ২ হাজার ৬ শত ৯৪ জন সুবিধাভোগী। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ওই সুবিধাভোগীরা ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরেই ভাতার টাকা পাবেন।
বুধবার (১৫ জুলাই) সকালে উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নে ভাতার বই ও ভাতা বিতরণের মধ্য দিয়ে ওই সুবিধাভোগীদের ভাতা প্রাপ্তি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এ নিয়ে চান্দিনা উপজেলায় বিশ হাজারেরও বেশি সুবিধাভোগী সরকারি ভাতার আওতায় এসেছে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস এর কারণে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে ভাতা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন- সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কীয় সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপি। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহাশীষ দাশ এর সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- চান্দিনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা তপন বক্সী।
অনুষ্ঠানে ভাতাভোগীদের মধ্যে বই ও ভাতা বিতরণ করেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নাছিমা আক্তার। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জোয়াগ ইউপি চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসান ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক জোয়াগ শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ।
উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার নাছিমা আক্তার জানান, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা পেতে কোন টাকা লাগে না। সরকারের দশটি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম অন্যতম। এটি দীর্ঘ মেয়াদি সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম”। তিনি আরও জানান, বয়স্ক ও বিধবা ভাতাভোগী মাসিক ৫শত টাকা হারে ১২ মাসের জন্য ৬হাজার করে পাবেন আর প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীরা মাসিক ৭শত ৫০টাকা হারে ১২ মাসে ৯ হাজার টাকা পাবেন।
এছাড়াও সকল ভাতাভোগীদের সরকার জিটুপি’র আওতায় নিয়ে আসার জন্য দেশব্যাপী কার্যক্রম শুরু করছেন বলে জানান। চান্দিনা উপজেলাও চলতি বছরেই শতভাগ জিটুপি বাস্তবায়ন হবে। এতে করে সকল ভাতাভোগীদের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে জানান। সেজন্য ইউনিয়ন কমিটি এবং উপজেলা কমিটির সহযোগিতা কামমা করছেন।