দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসসহ চলমান কাজ জনস্বার্থে ঈদের আগের ৭ দিন ও পরের ৭ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি আজ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নবনির্মিত ভবনে ঈদকে সামনে রেখে দেশের সড়ক-মহাসড়কের পরিস্থিতি নিয়ে প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তার বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ নির্দেশ দেন।
সরকার ইতিমধ্যে ঈদে কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন তাই সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন প্রত্যেক জোন, সার্কেল ও বিভাগকে সক্রিয় থাকতে হবে যাতে সড়ক-মহাসড়কের উপর বা পাশে পশুরহাট না বসে।
তিনি এ বিষয়ে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আগেই সমন্বয় করার নির্দেশ দেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ঈদে গ্রাম মুখি মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত করতে হবে। মন্ত্রী দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতু থাকলে তার নজরদারি করতে হবে, প্রয়োজনে বিকল্প রাস্তা ঠিক করে রাখারও নির্দেশ দেন।
নবীনগর, বাইপাইল, ইপিজেড, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, গাজীপুর, ভুলতা, কাচপুর এলাকায় অসংখ্য গার্মেন্টস থাকায় ঘরমুখো মানুষের প্রচন্ড চাপ তৈরি হবে। তাই এ চাপ সঠিকভাবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও বিজিএমইএর সাথে সমন্বয় করতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের টঙ্গী-গাজীপুর মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় প্রয়োজনে গাজীপুরের মেয়র, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার অনুরোধ জানান। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে সড়ক-মহাসড়ক এখন ভালো পর্যায়ে আছে, তবে এক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি বাড়িয়েছে অবিরাম বৃষ্টি।
তিনি বলেন, চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অতীতের মতো এবারও সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। সড়ক ও মহাসড়ক অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খানসহ অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।