বর্তমানে পরিবার নিয়ে দেশের বাইরে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। কয়েকদিন আগেই হয়েছেন দ্বিতীয় সন্তানের বাবা। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ক্রিকেট বাজিতে সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন দুই সন্তান আলাইনা হাসান অব্রি ও ইরাম হাসান তার জীবনে আমূল পরির্বতন এনে দিয়েছে।
২০০৬ সালে ১৯ বছর বয়সে অভিষেক ২০০৯ সালে বাংলাদেশের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয় সাকিবকে। বারবার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য শিরোনাম হয়েছেন তিনি।
টাইগার ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই নাম মানছেন অনেকক্ষেত্রেই দোষ তারই ছিল। এরমধ্যে কিছু সময় তাকে ভুল বোঝা হয়েছে।
৩৩ বছর বয়সী সাকিব বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই বড় দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। যেকারণে আমার ভুল হবে এটাই স্বাভাবিক। মাত্র ২১ বছর বয়সে অধিনায়ক হয়েছিলাম। তাই বার বার ভুল হয়েছে। অনেকেই আমাকে নিয়ে অনেক কিছু ভাবেন।
এখন আমি বুঝতে পারি এগুলোর মধ্যে অনেক কিছুর জন্য আমি দোষী। অনেক কিছু আছে যেগুলোর জন্য সবাই আমাকে ভুল বুঝে। এটা আমি বুঝে গেছি। উপমহাদেশে এগুলো সচরাচর হয়েই থাকে।’
দিনের পর দিন ক্রিকেটার সাকিবের পরিসংখ্যান যত দীর্ঘ হচ্ছে, ব্যক্তি সাকিবও এখন পরিণত মানুষ বলে মনে করেন তিনি। ‘আমি চেষ্টা করবো ভুল গুলো না করার। এখন আমি বিবাহিত। দুই সন্তানের জনক। আমি এখন খেলা ও জীবন দুইটাই অনেক ভালো বুঝি।
২০ বছরের যুবকের তুলনায় এখন আমি অনেক শান্ত। আমার মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন আর আগের মতো ভুল করতে দেখে না কেউ। দুই মেয়ে আমার জীবন পরিবর্তন করে দিয়েছে।’
জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় গেল বছরের অক্টোবরে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয় সাকিবকে। এমন ভুল থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বলে মনে করেন তিনি।
‘আপনার সত্যি বলতে শিখতে হবে। মানুষকে মিথ্যা বলা বা লুকিয়ে রাখা যাবে না। যা হয়েছে তা হয়ে গেছে। মানুষ মাত্রই ভুল। আপনি ১০০% না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভুল থেকে কতটুকু শিক্ষা নিয়েছেন আপনি।
তাহলেই আপনি অন্যদের বলতে পারবেন ভুল থেকে দূরে থাকতে। তাদের সর্তক করতে পারবেন ওই পথে যেনো না হাঁটে।’
চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর শেষ হচ্ছে সাকিব আল হাসানের এক বছরের নিষেধাজ্ঞা। ব্যক্তিগতভাবে তিনি চান না কেউই এই ভুল করুক।
‘এই ভুল অন্য কেউ করলে আমি শিখতে পারতাম। আমার সঙ্গে হয়েছে অন্যরা এর থেকে শিক্ষা নেবে। প্রথম দিন থেকেই আমি সত্যি বলেছি। যারা আমার কাছে বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন করেছে তাদের কাছে কিছুই লুকাইনি। সব স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমার ভুল হয়েছে। আমি চাই না আমার মতো কোনও খেলোয়াড় এই ভুল করুক। আমি এর জন্য ক্ষমা চেয়েছি। এখন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আমি চাই সবাই আমার ভুল থেকে শিক্ষা নিক। যাতে কেউই এই পথে পা না বাড়ায়।’