মাদারীপুরের ৩০টি ইউনিয়নের মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার কারণে ভেঙ্গে গেছে গ্রামীণ রাস্তা ঘাট। দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। মাদারীপুরের শিবচরের রাস্তাঘাট সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়াও মাদারীপুর সদর, কালকিনি ও রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ২০টি গ্রামীণ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরেজমিন মাদারীপুরের কালকিনিতে দেখা গেছে, পৌরসভার লক্ষিপুর-পখিরা পাকা সড়ক পালরদি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে সকল যান চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে ৫ গ্রামের মানুষ। এছাড়া বর্তমানে নদী ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে ১০টি বসতবাড়ি।
স্থানীয় লোকজনেরা জানান, ওই স্থানের আশেপাশের ৫টি গ্রামের বাসিন্দা এই রাস্তা ব্যবহার করে যাতায়াত করে আসছে।
এ সড়কটি দিয়ে কালকিনি সদর থেকে আলীনগর, ফাসিয়াতলা ও কালিগঞ্জ এলাকার কাঁচা মালামাল ও বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য পরিবহন করা হয়। এ ছাড়া কালীগঞ্জ ও কালীনগর ফাসিয়াতলা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীর দীর্ঘদিন ধরে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে আসছে। কিন্তু সড়কটি ভাঙ্গনের কারণে এখন সব ধরনের যোগাযোগ স্থবির হয়ে পড়েছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলা শিরখাড়া এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল বাপ্পি জানান, কয়েকদিনের নদী ভাঙ্গনে আমাদের এলাকার নতুন সড়ক ধসে পড়ে সব যোগাযোগ বিছিন্ন হয়। ভেঙ্গে যাচ্ছে বাড়ি ঘরও।
মাদারীপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, নদী গর্ভে বিলিন হওয়া সড়কগুলো শিগগিরই এলজিডির মাধ্যমে সংস্কার করা হবে।
মাদারীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলে পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামত করা হবে।