পটুয়াখালী সদর উপজেলার চরজৈনকাঠী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ সফেজ আকন(৭৫) এর পুএ রাজ্জাক আকন( ৪৮) এর অভিনব প্রতারনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে অএ ইউনিয়নের সহজ,সরল নীরিহ সাধারন জনগন।
স্থানীয় ও গ্রামবাসীদের অভিযোগ সূএে ও,সরেজমিনে গেলে যানাযায়,প্রতারক রাজ্জাক আকন দীর্ঘদিন যাবৎ ফরিদপুর জেলার টেকের হাট এলাকার ভন্ডফকির রাজ্জাক সাপুরের শিস্য পরিচয় গরুচোর ধরা,হারানো টাকা,মোবাইল,স্বর্ন অলংকার উদ্ধার,বিয়ে না হওয়া,স্বামী স্ত্রীর অমিল, জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে তদবিরের কথা বলে গ্রামের নিরীহ সাধারণ জনগণের কাছ থেকে প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।
এবিষয় ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা প্রতিবেদ,কে জানায় গত ১ মাস আগে প্রতারক রাজ্জাক আকন নিজে বর্গা কৃত গৃহপালিত পশু ২ টি গরু চুরি হয়ে গেছে বলে এলাকায় প্রচার করে এবং স্থানীয় কয়েকজনকে সন্দেহ করে। এবং গরু চোর প্রমান করার জন্য গত ১২ জুলাই রোববার স্থানীয় কয়েকজন নিয়ে টেকেরহাট এলাকায় ভন্ড ফকির রাজ্জাক সাপুরের কাছ থেকে আটাপরা নিয়ে আসে। আলাদাভাবে কিছু আটা পরা দিয়ে দেন সর্ত হল রুটি বানিয়ে যাকে বেশি সন্দেহ হয় তাকে খাওয়াতে হবে ভন্ড ফকির রাজ্জাক সাপুরে বলে দেন। টেকের হাট থেকে ফিরে এসে গ্রামবাসীর কাছে প্রচার করে গরুচোর ধরা হবে গ্রামের কয়েকজনকে একজায়গায় উপস্থিত করা হলে সন্দেহ মধ্যে বেশি সন্দেহ হওয়া গ্রামের ফজলু আকন(৮৫) এর ছেলে নুরআলম(৩৫) কে,আলাদা ঐ আটাপড়া রুটি খাওয়ালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চোর সাব্যস্ত করে একই গ্রামের মোড়ল শালিশদার ১/মোসারেফ ভুইয়া২/ আকবর আকন৩/নাসির মোল্লা৪/রেজাউল মুন্সী৫/মোজাম্মেল এদের সাজানো বৈঠকে স্থানীয়দের সামনে চুরি যাওয়া গরুর বদলে ২টি গরু এবং ফকিরের কাছে তদবির বাবদ নগদ ৪৫ হাজার টাকা দাবী করলে অভিযুক্তের বাবা তা মেনে নিয়ে প্রতারক রাজ্জাক আকনকে দিতে বলে সালিস। গোয়াল ঘড়ে থাকা ২টি গরু ও নগদ ৪৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার পরেও। রাতের আধারে নির্যন জায়গায় জোর পূর্বক স্ট্যাম্পে সাক্ষর নেয়া হয় এমনও জানাগেছে।।
এছাড়াও যানাযায়,গরুচুরির বিষয়টি যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে ভাইরাল হলে সদর থানার এস,আই হানিফ সরেজমিন পরিদর্শন করে দু পক্ষের কাউকেই খুজে পায়নি। এবিষয় তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি উভয় পক্ষকে থানায় আসতে বলেছি কিন্তুু কোন পক্ষই থানায় আসেনি।
এবিষয় অভিযুক্তর বাবা ফজলু আকন বলেন,
প্রতারক রাজ্জাক আকনের চুরি যাওয়া গরু ২টি বর্গা পালতে দিয়েছেন ৫ নং ওয়ার্ডের মোঃ কালাম মোল্লা।
উক্তব্যপারে ভুক্তভোগী স্থানীয় জুয়েল ও মাসুদ রানা প্রতিবেদ,কে আরো জানান,গত ১৭ জুলাই আমাদের মোল্লা বাড়ীর আরো ১টি গরু চুরি হয়।
এব্যপারে রাজ্জাকের স্বরনাপন্য হলে রাজ্জাক সহ এলাকার আরো কয়েকজন মোড়ল বাহীনি নিয়ে ভন্ড ফকিরের তদবির আনলে তাতে কোন প্রকার ফল না হলে অভিযুক্ত প্রতারক রাজ্জাকের প্রতারনা ফাস হয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে গত ২১ জুলাই সকাল ৮ ঘটিকায় গ্রামের ভুইয়া বাড়ীর মাদ্রাসায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি সাবেক ইউপি মেম্বার সহ শালিশ বৈঠক ডাকে তাতে প্রতারক রাজ্জাক উপস্থিত না হয়ে জৈনিক গডফাদারকে দিয়ে হুমকি দেয় শালিশ বৈঠকে।
স্থানীয়রা ঐ বৈঠকে প্রতারক রাজ্জাক এর বিরুদ্ধে কঠীন বিচারের দাবী করেন। এবং এলাকায় তাকে বয়কটের ঘোষনা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ সত্যতা প্রমানের জন্য অভিযুক্ত রাজ্জাকের মুঠোফোনে একাধীকবার ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও সরেজমিনে তার বাড়ীতে গেলে তার বসত ঘড়টি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।
উক্ত ঘটনার ব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজ আলমের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গরু চুরির বিষয়ে স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছে আমি তাৎক্ষনিক সদর থানায় এস আই হানিফকে বিষয়টি জানিয়েছি।। এছাড়াও তারা ফকিরের কাছে তদবির এর জন্য যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে আমি বলেছি কোন প্রকার দূর্ঘটনা হলে এর দায়ভার কে নেবে। বরং আপনারা থানায় মামলা করেন বলে জানান।
এবিষয় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ ওসি আখতার মোর্সেদ এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আমরা পাইনি তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।