অনলাইন ডেস্ক
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ও আজ শুক্রবার করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর জানা গেছে তারা তিনজনেরই করোনা পজিটিভ ছিলেন। এর মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী।
মৃতদের মধ্যে দুইজন গত বৃহস্পতিবার যথাক্রমে ফরিদপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে মারা যান। অপরজনকে আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার হামেরদী ইউনিয়নের ৭০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী চার মেয়ে ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি ছিলেন। জানা গেছে, মৃতের ভাই এক পুলিশ কর্মকর্তা। সম্প্রতি তার করোনা সনাক্ত হওয়ায় তিনি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা। তিনি উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্বামী তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। গত মঙ্গলবার করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনি এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার দিকে নিজ বাড়িতে মারা যান ৭৫ বছর বয়সী এক ব্যাক্তি। তার বাড়ি উপজেলার নূরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের একটি গ্রামে। তিনি সবজি ব্যবসায়ী ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী চার ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। ওই ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাইউম মোল্লা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ওই বৃদ্ধকে পরিবারের উদ্যোগে দাহ করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা উপজেলা স্থাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মোহসিন উদ্দিন ফকির জানান, ওই তিনজনের মৃত্যুর পর সনাক্ত হয় তাদের তিনজনের করোনাভাইরাস পজিটিভ ছিল।
তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সূত্রে জানা যায় ওই তিনজনের করোনা ভাইরাস পজিটিভ এসেছে। মৃত্যুবরণকারী করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া দুইজনকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাফন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ভাঙ্গায় এ পর্যন্ত ১৮৪ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত একজন মুক্তিযোদ্ধাসহ মোট ছয়জন মারা গেছেন। পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন সেবিকাসহ সুস্থ হয়েছেন ৬ জন।