সরকার বলে শিশুভাতা দিচ্ছে। হামার তিন শিশু যমজ বাচ্চার ভাতার জন্য এমপি, মেয়র, কাউন্সিলর কত জনের কাছে গেলাম, কেউ কিছু দিল না বাবু। হামার বাবুরা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে।’
কথাগুলো বলছিলেন, নাটোর শহরের হাজরা নাটোর এলাকার আদিবাসী পল্লীর দিনমজুর কাশিনাথ পাহানের স্ত্রী বৃষ্টি পাহান। ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল সিজারের মাধ্যমে বৃষ্টি পাহান তিন ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
বাচ্চাদের নাম রাখা হয় কর্ণ, কেশব, কৈশিক। একই রকম চেহারার তিন শিশুকে নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে আদিবাসী এই পরিবারটির। বাচ্চাদের বাজার থেকে দুধ কিনে খাওয়াতে হয়।
করোনার লকডাউনে তাদের কেউ সাহায্য করেনি। তিন সন্তানের জনক কাশিনাথ পাহান মানুষের জমিতে ক্ষেতমজুরের কাজ করে যা পান তা দিয়ে পাঁচ জনের সংসার খেয়ে না খেয়ে দিনানিপাত করছে।
আদিবাসী পল্লী প্রধান পরিস্কার সরদার বলেন, তিন যমজ শিশু নিয়ে পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছে। দিনমজুর বাবার পক্ষে তিন শিশুর ভরণপোষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।