পেশাদার খুনির হাতেই খুন হন রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ। এখন পর্যন্ত তদন্ত করে গোয়েন্দারা এমনই তথ্য পেয়েছেন। তাদের ধারণা, খুনির পরনে ছিল কালো পোশাক, মুখে ছিল কালো মাস্কও।
ফাহিম সালেহের পিছু নিয়েই তিনি লিফটে করে ম্যানহাটানের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করেন। তবে দুদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি নিউইয়র্ক পুলিশ।
ফাহিম সালেহ হত্যার রহস্য জট এখনও খোলেনি। তবে তদন্তের এ পর্যায়ে জানা গেছে, খুনি কালো জামা ও কালো মাস্ক পরে এসে তাকে হত্যা করে। আগে থেকেই ফাহিমের পিছু নেওয়া হয়েছিল বলেও ধারণা পুলিশের।
নিউ ইয়র্ক পুলিশের তদন্তকারীরা ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালিয়ে আলামত সংগ্রহ করে নানান তথ্য দিচ্ছেন। আশপাশের রাস্তা ও ভবনে যতো সিসি ক্যামেরা আছে, সেগুলোর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও এনওয়াইপিডির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ফাহিমের পরিবার বলছেন, ঘাতক কীভাবে ভবন থেকে পালালো তা জানতে হবে।
আর তদন্ত কর্মকর্তাদের বক্তব্য, ফাহিমকে হত্যার পর টুকরো টুকরো মরদেহ সুটকেসে ভরে কোথাও সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল খুনির, যাতে তাকে নিখোঁজ উল্লেখ করা যায়।
তবে খুনির কাজ শেষ হওয়ার আগেই ওই অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার জন্য কেউ নিচ থেকে কলিং বেল দিয়েছিলেন; সে শব্দেই ঘাতক সবকিছু ফেলে ভবনের পেছনের দরজা ও সিঁড়ি ব্যবহার করে পালিয়ে যান।
আপাতত ব্যবসায়িক কারণেই হত্যা বলে মনে করছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। এক্ষেত্রে নাইজেরিয়ার শত্রুদের সন্দেহ করা হচ্ছে। মৃত্যুর আগে ফাহিমের বিরুদ্ধে নিউ জার্সির এক কারাকর্মীর করা মামলা চলমান ছিল। ফাহিমের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে করা মামলায় ক্রিক ইডি নামে ওই ব্যক্তি প্রতারণার অভিযোগ আনেন।
ওই ব্যক্তির ভাষ্য, ফাহিমের তৈরি প্র্যাঙ্কডায়াল অ্যাপ ব্যবহারের সময় তিনি ভেবেছিলেন, তিনি যা করছেন, তা বৈধ। যদিও অ্যাপটি ব্যবহার করে ওই ব্যক্তি গোপনে অন্যদের কথা রেকর্ড করেছিলেন।