মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত নুরুদ্দিন মাদবর এসএডিপি উচ্চ বিদ্যালয় বুধবার গভীর রাতে নদী গর্ভে চলে গেছে। এই স্কুলটি ছিলো চরাঞ্চলের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে স্কুলটি হেলে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে এসে স্কুলটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, পদ্মা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের ৫ ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বেড়েছে। ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি কোনোমতে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বিস্তির্ন জনপদসহ আক্রান্ত হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, সড়ক ব্যবস্থাও। ভয়াবহ ভাঙ্গনে বন্দরখোলা ইউনিয়নের চরের মানুষের শিক্ষার বাতিঘর বলে খ্যাত নুরুদ্দিন মাদবর এসএডিপি উচ্চ বিদ্যালয় গতকাল রাতে নদী গর্ভে চলে গেছে।
এছাড়াও ঝুঁকিতে রয়েছে কাজীর সুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কাজীর সুরা কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
এদিকে চরাঞ্চলের ৫ ইউনিয়নে বন্যার কবলে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ঘর-বাড়ি ডুবে যাওয়ায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। নিম্নাঞ্চলের ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
মাদারীপুরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, কুমার ও পালরদী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। পানি বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন।
নদী ভাঙ্গনে গৃহহারা পরিবারগুলো বিভিন্ন উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বানভাসী মানুষগুলো ঘরে মাচান বেঁধে থাকছে। পানির তোড়ে বিভিন্ন এলাকার সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।