December 23, 2024, 12:02 pm

গলাচিপায় জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের জমজমাট বেচাকেনা

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : Friday, November 27, 2020,
  • 474 Time View
Winter clothes are frozen in the throat

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ফুটপাতে চলছে শীতবস্ত্রের জমজমাট বেচাকেনা। মধ্যবিত্ত, নি¤œ মধ্যবিত্ত ও নি¤œœ আয়ের মানুষসহ প্রায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ফুটপাত বাজারগুলো থেকে শীতের কাপড় কেনাকাটা করছে। দক্ষিণাঞ্চলে বইছে শীতের হিমেল হাওয়া।

 

গ্রামের তুলনায় শহরে শীতের তীব্রতা কম। এরপরও সর্দি, কাশিসহ শীতকালীন নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন গলাচিপাবাসী। কিনছেন হালকা ও মাঝারি ধরনের শীতের গরম পোশাক। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) পৌর শহরের আওয়ামী লীগ অফিস কার্যালয়ের সামনে পৌরমঞ্চ চত্বরে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়।

 

শুধু তাই নয় সদর রোড, খেয়া ঘাট, থানা চত্বরের সামনে, পোস্ট অফিসের সামনে ও বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত এবং মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে শীতবস্ত্র বেচা-কেনার তীব্র ভিড়। মানুষকে ঈদ বাজারের মতো আগ্রহ নিয়ে শীতের কাপড় কিনতে দেখা গেছে। ভিড়ের কারণে দামাদামি ও যাচাই বাছাই করে কেনার সুযোগ অনেকটা কম পাচ্ছে ক্রেতারা।

শুধু শীতের কাপড় পছন্দ হলেই কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। পৌরমঞ্চ চত্বরের সামনে ফুটপাতে বসা ব্যবসায়ী মো. ফকরুল ইসলাম বলেন, আমরা বছরে দুই ঈদ ছাড়া এই শীতে একটু বাড়তি ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে থাকি। তবে সারা বছর আবার এ সুযোগ পাওয়া যায় না বলে তিনি জানান। অপর এক ব্যবসায়ী জলিল বলেন, গত বছরও শীতবস্ত্রের মার্কেট জমজমাট ছিল।

তবে এবার শীত আসতেই ক্রেতারা আগে ভাগে শীতের কাপড় কিনে নিচ্ছেন। গোলখালী ইউনিয়নের হরিদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ক্রেতা নাসির উদ্দিন প্যাদা বলেন, শীতের প্রভাব বেশি পড়ার আগেই এবার শীতের পোশাক কেনার জন্য ফুটপাতের মার্কেটে আসছি। তিনি আরও বলেন, আমরা গরিব তাই আমাদের বেশি দামের পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই।

তাই ফুটপাতের পোশাকই আমাদের ভরসা। অন্য দিকে পৌর শহরের সদর রোড এলাকার বাসিন্দা রাধা রানী ভক্ত বলেন, শীত শুরুর আগেই মার্কেটে ভিড়। মানুষের ভিড়ের কারণে দোকানেই ঢোকা যাচ্ছে না। দরদাম করে কেনাতো দূরের কথা। তার পরও একটু আগে ভাগে কিনতে আসলাম। না হলে পরে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে।

সরেজমিন মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শীত বস্ত্রের মধ্যে বেশি বেচা-কেনা হচ্ছে ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের কাপড়।

মাথার টুপি, পায়ের ও হাতের মোজা, মাপলার, সুয়েটার, জাম্পার, ফুলহাতা গেঞ্জির দোকানেই বেশি ভিড় দেখা গেছে। পৌর শহরের ফুটপাতের দোকানে শীতবস্ত্র কিনতে আসা পৌরসভার দাস বাড়ির আলো রানী দাস বলেন, বাচ্চাদের শীতের কাপড় আগে যেটা ১২০-১৫০ টাকায় কেনা যেত এখন সেটা কিনতে হচ্ছে ২২০-২৫০ টাকা দিয়ে।

তিনি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিটি পণ্যের অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর শীত বেশি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন সাধারণ জনগণ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71