সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ কখোনই তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বহাল করবে না। সেটি প্রতিষ্ঠায় সব রাজনৈতিক শক্তিকে এক হয়ে সংগ্রাম করতে হবে।
দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে এটাই এখন একমাত্র উপায় বলে মনে করেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল। বলছেন, বিএনপিকে শাস্তি দিতে গিয়ে রাতের ভোটের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার হরণের কোন অধিকার নেই আওয়ামী লীগের।
সম্প্রতি দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য কমিশনারদের অর্থ আত্মসাতসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দেন। দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখে সিইসিসহ সব কমিশনারকে অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনে রাষ্ট্রপতির প্রতি অনুরোধও জানান তারা।
এই বিশিষ্টজনদের মধ্যে অন্যতম অধ্যাপক আসিফ নজরুল, বলছেন দেশের সমসাময়িক সংকটগুলোর প্রধান অন্তরায় মানুষের ভোটাধিকার হরণ। তিনি বলছেন, ভোটাধিকার শুধু আওয়ামী লীগ বা বিএনপির না এটা ১৬ কোটি মানুষের। তাই অতীত কোন কিছুর শাস্তি ভোটাধিকার হরণ নয়।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ইতিহাসে জঘন্যতম দুটি নির্বাচন করেছে। বিএনপি পাপ করেছে বিএনপিকে শাস্তি দেয়া হয়েছে কিন্তু আওয়ামী লীগকে কি সেই শাস্তিটি দেয়া হয়েছে। ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে কোন কিছু হতে পারে না।
তিনি মনে করেন, এই মুহুর্তে বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্রের মতোই হুমকির মুখে। আওয়ামী লীগ কাউকে কোন স্বাধীনতা দিচ্ছে না। সেটা বিএনপি হোক বা অন্য যে কোন বাম রাজনীতির দল হোক।
গণতন্ত্র ফিরবে এমন আশা ব্যক্ত করলেও এ জন্য সংগ্রামের কোন বিকল্প নেই- মনে করেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যবস্থা করতে হবে। এবং এটা আওয়ামী লীগ কখনও দিবে না এটাকে গণআন্দোলনের মাধ্যমে অর্জন করতে হবে।
আসিফ নজরুল মনে করে, জাতীয় নেতাদের কোন বিষয় নিয়ে তর্ক না করে, নজর দিতে হবে সমসাময়িক বিষয়ে।