আবাসিক হল না খুলে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়েছে উচ্চ শিক্ষায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। আবেদন, বিক্ষোভ, ধর্মঘট, স্মারকলিপি কোনো কিছুতেই টনক নড়ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
বরং অনার্স ফাইনাল ও মাস্টার্স পরীক্ষার সাথে একে একে অন্যান্য বর্ষের পরীক্ষারও ঘোষণা দিচ্ছে অনুষদগুলো। কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের সমস্যায় ফেলবে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকবে কোথায়? এই প্রশ্নের সদুত্তর নেই কারো কাছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মাসুদ। আবাসিক হল না খুলে পরীক্ষা ঘোষণার সিদ্ধান্তে পড়েছেন বিপাকে। পরীক্ষার আগেই বার্ষিক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে করোনা সংক্রমণের দুশ্চিন্তা দূরে ঠেলে এসেছেন ক্যাম্পাসে। পরীক্ষা দিতে আবারো আসবেন কদিন পর। কিন্তু, থাকবেন কোথায় তা অনিশ্চিত।
হল না খুলে অনার্স ফাইনাল ও মাস্টার্স পরীক্ষার ঘোষণায় যখন চিন্তায় শিক্ষার্থীরা তখন অন্যান্য বর্ষের পরীক্ষার তারিখও ঘোষণা করছে কর্তৃপক্ষ। রয়েছে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের বিপুল শিক্ষার্থীর পরীক্ষাও।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলছেন, শিক্ষার্থীদের সমস্যা হবে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের সুবিধা দেখেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রশাসনের এমন দাবির বাস্তবতা সামান্যই। শিক্ষার্থীদের বক্তব্যে যা স্পষ্ট। তারা বলছেন, এতো সল্প সময়ের মধ্যে ভর্তি ও ফি জমা দেয়া জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে বিভাগ থেকে। কিন্তু হল না খুলে পরীক্ষা দেয়া কোন ভাবেই সম্ভব না। এছাড়াও ফি মওকুফের দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
হল খোলার দাবি জানিয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলো, হচ্ছে অবস্থান কর্মসূচি, দেয়া হয়েছে স্মারকলিপি কিন্তু সিদ্ধান্তে অনড় প্রশাসন। দীর্ঘদিন বন্ধ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। বন্ধ ক্লাস পরীক্ষা । কিন্তু হঠাৎই হল না খুলে পরীক্ষার সিদ্ধান্তে বিপাকে শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষায় আপত্তি নেই কিন্তু তার আগে আবাসন নিশ্চিতে হলগুলো খোলার দাবি শিক্ষার্থীদের।