রাজধানীতে গ্যাং কালচারে ভয়ংকর কিশোররা। কেউ কেউ নিজেদের শক্তি-সামর্থ্য দেখাতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র বহন করে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে গ্রুপ সৃষ্টি করে সংঘবদ্ধ অপরাধে জড়ানো কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা খোদ রাজধানীতেই অর্ধশতাধিক।
এরই মধ্যে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ বন্ধে দুই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এক্ষেত্রে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ বেশি জরুরি বলে মনে করছেন তারা। ভয়ংকর হয়ে উঠেছে ‘গ্যাং কালচার’। গ্যাংগুলো উদ্ভট সব নামে পরিচিত। স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর আগেই রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় কিশোরদের একটি অংশের বেপরোয়া আচরণ স্থানীয়দের জন্যও আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে।
প্রথমদিকে এরা ইভটিজিং বা বখাটেপনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক কেনাবেচা, ধর্ষণ এবং দলবেঁধে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ভার্চুয়াল জগতের কিশোররা এতটাই বেপরোয়া যে, এরা তুচ্ছ ঘটনায় নিজেদের ফেসবুক গ্রুপে স্ট্যাটাস দিয়ে খুন করে বসে। আগে সম্প্রতি রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে একটি ঘটনায়ই এদের বেপরোয়া আচরণের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে ওঠে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি সোহেল রানা বলছেন, অপরাধে জড়িয়ে পড়া কিশোরদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে শুধু আইন প্রয়োগ করে বা পুলিশি ব্যবস্থার মাধ্যমে এর সমাধান সহজ নয়। কিশোর অপরাধ দমনে পরিবার ও সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
এরই মধ্যে কিশোর গ্যাং অপরাধ বন্ধে র্যাবের পক্ষ থেকে দুই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলছেন, কিশোর অপরাধ বন্ধে প্রথমত আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে এবং পরে সংশোধন করেও তাদের ভাল পথে ফিরেয়ে আনার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। র্যাবের হিসেব বলছে, রাজধানীতে ৫০টির বেশি কিশোর গ্যাং রয়েছে। প্রতিটি গ্যাংয়ে সদস্য রয়েছে ১৫ থেকে ২০ জন।