উচ্ছেদের দেড় বছরের মধ্যে আবার দখল হতে শুরু করলো তুরাগ তীর, নদীর তীরবর্তী জায়গার মালিকগনের সাথে তিন সরকারি সংস্থার সমন্বয়হীনতার সুযোগ নিয়ে দখলদারীরা এই দখল অব্যাগত রেখেছে। আব্দুল্লাপুর রেলগেইট থেকে গাবতলি পর্যন্ত বেড়িবাঁধসহ তুরাগ তীরে অবৈধ দখলদারের সংখ্যা প্রায় এক হাজার একশ জন।
২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত তুরাগ তীরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ৮০ শতাংশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডব্লিটিএ। সংস্থাটি বলছে, নদ-নদীর সীমানা পিলার ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষাঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে।
অনুসন্ধান বলছে, দখলমুক্ত করার পর স্থায়ী সীমানা পিলার অতিক্রম করে আবার বেদখল হয়ে যাচ্ছে তুরাগ। টঙ্গী সেতুর পশ্চিম পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর জায়গা দখল করে মাছের আড়ত বসিয়ে তুরাগ দখলে গেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
এরপর টঙ্গী রেলওয়ে থেকে গাবতলী ব্রিজ পর্যন্ত বেড়িবাঁধ ও তুরাগ তীর ঘেঁষে ২০ কিলোমিটারের মধ্যের এর একই কায়দায় প্রায় ১১ শতাধিক কাচাঁ পাকা ঘর, দোকানপাট, হাটবাজার, গাড়ির স্ট্যান্ড, স্থায়ী ভবনসহ শিল্পপ্রতিষ্ঠান করে তুরাগ দখলে রেখেছে প্রভাশালী মহল। এরমধ্যে তুরাগ তীরে প্রায় ৮টি প্রতিষ্ঠানকে সংযোগ সড়ক ব্যবহারের জন্য জমি লীজ দেয়ার কথা জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তুরাগ নদ দখল হওয়ার এমন কৌশল স্বীকার করে পূনঃরায় উচ্ছেদের কথা জানায় বিআইডাব্লিউটিএ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড। বিআইডব্লিউটিএ-এর বন্দর পরিচালক ওয়াকিল নেওয়াজ বলছেন, কেউ যেন স্থানীভাবে দখল করতে না পারে সে জন্য সীমানা পিলার দেয়া হবে।
আর বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আইনুল হক বলছেন, বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। তারা যে কাউকে জেটি করার অনুমতি দিচ্ছে। এসময় তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে উচ্ছেদের তালিকা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও উচ্ছেদ শুরু হবে।
আর এর কারণ হিসেবে সরকারের তিনটি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখছেন সদ্য দায়িত্ব পাওয়া জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এস এম আলী কবীর। তিনি জানান, সমন্বয়হীনতা দূর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
দখলের পর উচ্ছেদ আবার উচ্ছেদের পর দখল এই খেলা কবে বন্ধ হবে তা নিশ্চত করতে পারছে না কেউ।