পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একতলা ভবনটি দীর্ঘ দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। টাই বিমের ঢালাই খসে পড়েছে, বেরিয়ে আছে রড। দেয়ালের অসংখ্য জায়গায় ফাটল ধরে পলেস্তার খসে পড়েছে। শৌচাগারের বেহাল অবস্থা।নেই নিরাপত্তা দেয়াল। এমনকি ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসেও রয়েছে বিম ও দেয়ালে ফাটল।
এ অবস্থার ফলে আদালত চলাকালে বিচারক, বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী, পুলিশসহ সকলেই থাকেন আতঙ্কে। কখন না জানি কার ওপর ছাদ থেকে খসে পড়ে আলগা হয়ে যাওয়া ঢালাইয়ের চাপড়া।গলাচিপা ছাড়াও রাঙ্গাবালী উপজেলার বিচারিক কার্যক্রম চলে এ আদালতে। সরেজমিন আদালতে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে আদালতে প্রত্যেকটি কক্ষে রয়েছে অসংখ্য ফাটল আর ফাটল। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাস, খাস কামরা, পেশকার রুম, কোর্ট সিএসআই, জিআরও, নকলখানা, পুলিশ ব্যারাক, হাজতখানাসহ পুরোভবন ঝুঁকিপূর্ণ।সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় আদালতের এজলাসের কক্ষটি খুবই সংকীর্ণ।
বিচারক, পেশকার, পুলিশ, আইনজীবী, আইনজীবীদের সহকারী, মামলার বাদী, বিবাদী উপস্থিত হলে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। মাত্র তিন দশক আগে নির্মিত ভবনটি’র এ বেহাল দশার জন্য আইনজীবীরা দায়ী করছেন ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। ভবনে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও যথাযথ তদারকির অভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। ২০০০ সালে এ ভবনটি উদ্ধোধন করেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু ও তার সাথে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী সদ্য প্রয়াত আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এমপি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিদিন আদালতে ছাড়াও কয়েকশ’ মানুষ উপস্থিত হয়। রাতে হাজতি ও পুলিশ ব্যারাকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করেন কর্তব্যরত পুলিশরা।এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শামীম মিয়া ও অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন আদালত ভবন নির্মাণের দাবি করেন।
জানতে চাইলে পটুয়াখালী-৩ আসনের সংদস্য সদস্য এসএম শাহজাদা জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশ অনুযায়ী ইতিমধ্যেই ভবনটি সংস্কারে প্রাক্কলন তৈরি করে অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দের জন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে অবহিত করেন।