স্বাধীনতার ৫০ বছরে সবচেয়ে বেশি সফলতা এসেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। তলাবিহীন ঝুড়ি এখন উন্নয়নশীল দেশ। শ্রমিকের ঘামে একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে রপ্তানি-রেমিট্যান্স, পাশাপাশি মাথাপিছু আয় ছাড়িয়েছে দুই হাজার ডলারের ঘর। করোনার মধ্যেও জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে পাঁচ শতাংশের উপরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেগা প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন আর কর্মসংস্থান তৈরি হলে এই অর্জন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
জাতির পিতার এ ঘোষণার নয় মাস পর এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, মহান স্বাধীনতা। তবে অধরা ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি। ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্টমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির সাথে তুলনা করতে কার্পন্য করেননি। তবে পঞ্চাশ বছরে পুরো উল্টে গেছে সেই চিত্র।
রাজধানী ঢাকার রাস্তায় এমন সব দামি গাড়ির চলাচল বলছে কতটা উন্নত হয়েছে সোনার বাংলা। ছোট্ট আয়তনের দেশ হয়েও পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় বাংলাদেশ। এক কোটি শ্রমিকের ঘাম ঝড়ানো শ্রমে রেকর্ড হচ্ছে রেমিট্যান্সেও। রিজার্ভ ছাড়িয়েছে ৪৪ বিলিয়নের ঘর। মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২০৬৪ ডলার। আর জিডিপি প্রবৃদ্ধি করোনার মধ্যেও পাঁচ শতাংশের উপরে। কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্যে খাদ্যেও স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ।
নিজস্ব অর্থায়নে হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। পাশাপাশি রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্নফুলি টানেল নির্মাণে পাল্টে যাবে পুরো দেশের অর্থনীতি। এর সাথে একশ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন করে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করতে চায় সরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবকাঠামো বাস্তবায়ন আর রপ্তানির গতি বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিতে হবে বাংলাদেশকে।
উন্নয়নশীল দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ কাঙ্খিত সময়ের আগেই উন্নত দেশ হবে সেই প্রত্যাশা সবার।