স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাজেটের আকার বেড়েছে ৭৬০ গুণ। করোনা মহামারির মধ্যেও চলছে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট তৈরির কাজ। অর্থমন্ত্রী নিয়মিত অনলাইন বৈঠক করছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সাথে। তার সাথে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারাও অংশীজনদের দাবি-দাওয়া শুনতে নিয়মিত অনলাইন বৈঠক করছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে জুনের প্রথম সপ্তাহেই প্রায় ছয় লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণের চূড়ান্ত সুপারিশ। সরকার যে বছর বড় পরিসরে আয়োজন করছে সুবর্ণ জয়ন্তী, সেই বছরে সবচেয়ে বড় ও জনকল্যানমুখী বাজেট প্রণয়নের চিন্তাও করছে অর্থমন্ত্রণালয়।
তবে সে যাত্রায় বড় বাঁধ সেধেছে করোনা মহামারি। অন্যান্য বছর বাজেটের আগে অংশীজনের সাথে ধাপে ধাপে বৈঠক হয় অর্থমন্ত্রণালয়ের। এবছর মহামারিতে তা হচ্ছে অনলাইন প্লাটফর্মে। সম্প্রতি ১১টি ব্যবসায়ী চেম্বারের সাথে অনলাইন বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। যার মধ্যে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, এমসিসিআইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনরা অংশ নিয়েছেন।
জুনের প্রথম সপ্তাহেই ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সব প্রস্তুতি রয়েছে অর্থমন্ত্রীর। জানা গেছে, সেই বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে ৫ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। যেখানে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাধা ধরা হতে পারে ৩ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকা। আর মহামারির মধ্যেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাধা ধরা হবে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলছেন, বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে দিক নির্দেশনা প্রয়োজন। এছাড়া আগামী বাজেটে প্রণোদনা বাড়িয়ে বেসরকারি খাতকে চাঙ্গা করার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।