পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোলখালী গ্রামের আকতারুজ্জামানের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। অন্যের বাসায় আশ্রিত থেকে চলছে তাদের বসবাস।
জানা যায়, গোলখালী ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের মৃত: আব্দুর রবের ছেলে মো. আকতারুজ্জামান (৪০)। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। আকতারুজ্জামান মানুষের সাথে দৈনিক শ্রমিক হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। মাঝে মাঝে কাজ না পেলে রিক্সা চালিয়ে কোন রকমে সংসার চালান। আকতারুজ্জামান জানান, আমার জন্মের পরেই দরিদ্র পরিবারে হাতাশা লেগে রয়েছে।
বাবা গরিব হওয়ায় ইচ্ছা থাকলেও বেশিদূর পড়ালেখা করতে পারি নাই। এইচএসসি পাশ করেই ধরতে হয় সংসারের হাল। বাবা মারা যাওয়ায় মা ও স্ত্রী, সন্তান নিয়ে কোন রকম সংসার করে বেচে আছি। আমার নেই কোন জায়গা জমি, নেই কোন ঘর, মানুষের জমিতে শ্রম দিয়ে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে কোন রকম সংসার চালাচ্ছি। যে দিন কাজ করতে না পারি সে দিন চালাতে হয় রিক্সা। তা দিয়ে যা পাই তা দিয়েই বাজার করি।
তিনি আরও বলেন, শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের গরীবদের নাকি ঘর দেয়। যদি আমি একটি ঘর পেতাম তাহলে বাকি জীবনটা সুখে কাটাতে পারতাম। অন্য মানুষের বাড়িতে ওকরাই থাকতে হইত না। আকতারুজ্জামানের স্ত্রী চম্পা বেগম (৩৫) জানান, আমার স্বামীর রোজগারে আমাদের ৬টি জীবন চলে।
থাকি অন্য মানুষের বাসায়, খুব কষ্টে। আকতারুজ্জামানের মা হালিমা খাতুন (৬০) জানান, স্বামীর মৃত্যুর পরে আমার ছেলে আকতারুজ্জামানের সংসারেই পরে আছি। আমার ছেলেটাকে যদি সরকারীভাবে একটি ঘর দিত তাহলে আমরা সরকারের কাছে চির ঋণী থাকতাম।
এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আবু কাশেম বলেন, আসলেই আকতারুজ্জামানের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারীভাবে তাদেরকে একটি ঘর দিলে পরিবারটির অনেক উপকার হত।
গোলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খালেক মাস্টার বলেন, আকতারুজ্জামানের কোন জমা-জমি নেই। আসলেই সরকারীভাবে ঘরের দাবিদার তারা। গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসিরউদ্দিন হাওলাদার বলেন, আকতারুজ্জামানের পরিবার আসলেই অসহায়। অন্য মানুষের সাথে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। সরকারীভাবে আকতারুজ্জামানের পরিবার একটি ঘর পেলে তারা সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।